সিরাজগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
এএসআই সন্তোষ কুমার। ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজ বাড়িতে এক গৃহবধূকে (৩২) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে। জানা যায়, মাদক তল্লাশির নামে এ কাণ্ড করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তবে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে এলাকায় তা প্রচার হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই গৃহবধূ বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এএসআই সন্তোষ কুমার আমার বাড়িতে প্রবেশ করেন। তখন তিনি কিছু না পেয়ে চলে যান। আবার ওই দিন রাত ৮টার দিকে আসেন। তিনি বলেন, আমি না কি মদ বিক্রি করি। আমি এ গুলো যেন আর না করি তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি তল্লাশির নামে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেন। ঘরে থাকা আমার মেয়ে ভয় ও লজ্জায় দৌড়ে গিয়ে পাশের বাড়ি থেকে আমার মাকে ডেকে আনে। এরপর মা দৌড়ে এসে এমন অবস্থা দেখে সন্তোষের পায়ে ধরেন। তারপরও তিনি আমাকে থানায় নেওয়ার হুমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে আমার বাড়িতে আবার কয়েকজন পুলিশ আসে। তখন সঙ্গে থাকা এএসআই সন্তোস কুমার বলেন, ‘বৌদি আমার ভুল হয়েছে।’
গৃহবধূর স্বামী পাশের জেলায় কৃষি কাজ করেন। তিনি বলেন, আমি বাড়িতে থাকি না। ঘটনার দিনও ছিলাম না। খবর পেয়ে আমি বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে শুনে বিস্মিত হয়েছি। ওই পুলিশ আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মদ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ এনে তার শরীরে হাত দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে তাড়াশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কেউ একজন এটা প্রচার করে দিয়েছে। স্যারদের জানালে তারা অনুসন্ধান করতে বলেছেন। অনুসন্ধানে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধর বলেন, ‘তাড়াশ থানার এএসআই সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি। এটা মূলত বানোয়াট। একজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওই নারীকে শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য ভিডিও করে তা বিভিন্ন মিডিয়াতে ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।’