বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তাঁতের শাড়ি স্বীকৃতি নিয়ে ভারতের মিথ্যার, প্রতিবাদে ফুসে ওঠেছে টাঙ্গাইলের মানুষ

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের দাবি করে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি নেওয়ায় প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুসে ওঠছে জেলাবাসী। দ্রুত ভারতের জিআই বাতিল করে বাংলাদেশের পণ্য হিসেবে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’কে জিআই স্বীকৃতির দাবি করেছে জেলার ব্যবসায়ী ও সুধীজনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এদিকে, ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) করা একটি পোস্টে বলা হয়- ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্য্যরে মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।’

এরপর থেকে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। টাঙ্গাইলের সচেতন মহল ইতোমধ্যে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এ বিষয়ে জরুরি সভা করে মন্ত্রণালয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’- এর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনকারীরা ‘টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি, টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য’, ‘নদী-চর খাল-বিল গজারির বন, টাঙ্গাইলের শাড়ি তার গরবের ধন’, ‘আমার ঐতিহ্য, আমার অহঙ্কার’, ‘টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ির জিআই স্বীকৃতি চাই’- ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়ান।

ওই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুঈদ হাসান তড়িৎ, আরিফুজ্জামান সোহেল, সমাজকর্মী নাজিউর রহমান আকাশ, মির্জা রিয়ান, আহসান খান মিলন, স্মরণ ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বিখ্যাত শাড়ি। ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পেজে এই টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস বলা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গে জড়িতরা জানায়, প্রায় ২০০ বছর ধরে ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি। যা নিজস্ব ঐতিহ্য বহন করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনাম কুড়িয়েছে।

এছাড়া ‘নদী-চর খাল-বিল গজারির বন, টাঙ্গাইল শাড়ি তার গরবের ধন’ এই স্লোগানের আলোকেই টাঙ্গাইলের মানুষের জীবনাচরণ চলমান। টাঙ্গাইল শাড়ি সদর উপজেলার বাজিতপুর, কৃষ্ণপুর, দেলদুয়ারের পাথরাইল, কালিহাতীর বল্লা, রামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়। তবে দেলদুয়ারের পাথরাইল টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী হিসেবে খ্যাত।

বল্লা এলাকা সুতা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা আশরাফী ও সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হাসান ভারতের কড়া সমালোচনা করে জানান, প্রায় আড়াইশ’ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি। এ শাড়ি টাঙ্গাইলেই অসাধারণ কারুকার্য ও সু-নিপুণতায় অত্যন্ত দরদ দিয়ে তৈরি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব শুধুমাত্র টাঙ্গাইলের তাঁতিদের। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক(জিআই) স্বীকৃতি দিয়ে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব ছিনতাই করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।

টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী খ্যাত পাথরাইলের শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক জানান, টাঙ্গাইল শাড়ি বলতে টাঙ্গাইলকেই বোঝায়। টাঙ্গাইলের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ভিন্ন মান ও ভিন্ন দক্ষতায় টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি হয়। এই দক্ষতায় অন্য জায়গায় শাড়ি তৈরি হলেও সেটা টাঙ্গাইল শাড়ি না। অন্যরা টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজের দাবি করে জিআই ট্যাগ নেওয়া- এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।

টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক কবি মাহমুদ কামাল ঢাকাপ্রকাশকে জানান, স্বাধীন বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা টাঙ্গাইল। কয়েকশ’ বছর আগে থেকে টাঙ্গাইল শাড়ি পৃথিবী বিখ্যাত। এ শাড়ির অন্য দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। ওই দেশের জিআই স্বীকৃতি বাতিল করে বাংলাদেশের পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান তিনি।

টাঙ্গাইল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ আর্টিজেন্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড এবং বল্লা এলাকা তন্তুবায় সমবায় সমিতির সভাপতি মোফাখখারুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রাচীনকাল থেকে টাঙ্গাইল শাড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁতিদের সু-দক্ষতায় সুনিপুণভাবে তৈরি হচ্ছে। ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে দেশভাগের পর টাঙ্গাইলের তাঁতিদের কেউ কেউ ভারতে গিয়ে বসতি স্থাপন করেছে। সেখানেই তারা আদি পেশা ‘তাঁত শিল্পের’ কাজ করছে। তাই বলে টাঙ্গাইল শাড়ি কখনোই সেদেশের হতে পারেনা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের জোরে টাঙ্গাইল শাড়ি দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। যারা ওই দেশে রয়েছে- তারাও শাড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে- এটা যেমন সত্য, তেমনি টাঙ্গাইল শাড়ি টাঙ্গাইলেরই সম্পত্তি- এটাও ধ্রæব সত্য। তিনি ওই দেশের জিআই স্বীকৃতি বাতিল করে বাংলাদেশের পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে জানান- টাঙ্গাইল শাড়ি, মধুপুরের আনারস ও জামুর্কির সন্দেশ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এটা যে এখানকার অর্জন, সেটার ৫০ বছরের সুদীর্ঘ ধারাবাহিকতা দিতে হয়। অথচ টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি আড়াইশ’ বছরের পুরাতন। টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার রাখে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া ২০১৭ সালে টাঙ্গাইল শাড়ি সরকার কর্তৃক ব্র্যান্ডিং হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভারত যে ঘটনাটা ঘটিয়েছে, তারা ডকুমেন্টেশনে উল্লেখ করেছে- পাথরাইলের বসাক পরিবারের আদি পুরুষরা সেখানে গিয়ে তাঁত শাড়ির পাড়ের ডিজাইন চেঞ্জ করে একটা ভিন্ন প্রকার উদ্ভাবন করেছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্টাডি করা শুরু হয়েছে।

এছাড়াও তিনি জেলা প্রষশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভা করেছেন। মন্ত্রণালয় টু মন্ত্রণালয় কথা বলে এ বিষয়ে কীভাবে আবেদন করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও আপিল করার সুযোগ থাকলে সে বিষয়েও কথা বলা হবে।

Header Ad
Header Ad

বেক্সিমকোর ৩ কোম্পানিতে ২৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ

ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি কোম্পানি- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং শাইনপুকুর সিরামিকস-এ ২৫ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

৩১ ডিসেম্বর এই আদেশ জারি করা হয়, যা বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম জানান, কোম্পানিগুলোর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বহাল থাকলেও নতুন নিয়োগকৃত পরিচালকরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন।

চেয়ারম্যান পরিবর্তন নিয়ে বিএসইসির কোনো নির্দেশনা নেই। তবে পরবর্তী সময়ে পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন নতুন পরিচালকরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশে এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সম্পর্কিত পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।

যারা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন- বেক্সিমকো লিমিটেডে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ডিপার্টমেন্ট অব কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক মো. শাহিনুর ইসলাম, বেঙ্গল ওভারসিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম, লেখক ও সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ বিন জুলফিকার, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন, ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট মির্জা আমিনুর রহমান, এমএনএ অ্যাসোসিয়েটের সিইও এম নুরুল আলম, ইনফিনিজেন্ট কনসালটিং লিমিটেডের চিফ কনসালট্যান্ট শেখ নাহার মাহমুদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাফকাত-উল-ইসলাম ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। আলোচ্য নয় স্বতন্ত্র পরিচালক বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডেরও স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন। এছাড়া শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মো. শাহিনুর ইসলাম, সুলতান মাহমুদ বিন জুলফিকার, মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন, মির্জা আমিনুর রহমান, এম নুরুল আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি।

নির্বাচিত পরিচালকরা পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদ সভা থেকে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এ সিদ্ধান্তের ফলে বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে বিএসইসি।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পেছানোর কারণ যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে মতবিরোধ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবে ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়।

বিরোধের মূলে কী ছিল?

১. রাজনৈতিক সমন্বয়ের অভাব: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মতে, জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া কোনো ঘোষণা দেওয়া উচিত নয়। তিনি ছাত্রনেতাদের সতর্ক করে দেন যে, এককভাবে ঘোষণা দিলে তিনি সরকারের সঙ্গে থাকতে পারবেন না।

২. আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ের উদ্বেগ:
- ছাত্রদের একক ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক বিভাজন এবং বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা দেখা দেয়।
- লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও ছাত্রনেতাদের আলোচনা হয়।

৩. সরকার ও উপদেষ্টাদের মতবিরোধ:
- আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করেন।
- ছাত্রউপদেষ্টাদের মধ্যে পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

গত সোমবার গভীর রাতে দফায় দফায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে। ছাত্ররা আপাতত ঘোষণাপত্র প্রকাশ থেকে সরে এসে কর্মসূচি স্থগিত সিদ্ধান্ত নেয়।

বিরোধী মতামত এবং প্রতিক্রিয়া

১. ছাত্র আন্দোলনের ভেতর দ্বিধা:
- একটি অংশ মনে করে, কর্মসূচি স্থগিত করা আন্দোলনের দুর্বলতা প্রকাশ করে।
- তাদের দাবি, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করলে ছাত্র আন্দোলনের স্বাতন্ত্র্য হারাবে।

২. বিএনপির অবস্থান:
- বিএনপি মনে করে, ছাত্রদের এই একক উদ্যোগ রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।
- দলটির মতে, ছাত্র আন্দোলনের দাবি অরাজকতা তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।

৩. অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
- জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এই কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে কোনো ভূমিকা নেয়নি।
- সরকার সমন্বিত ঘোষণার উদ্যোগ নিয়ে অস্থিতিশীলতা রোধের চেষ্টা করেছে।

শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন “মার্চ ফর ইউনিটি” নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে জনগণের ঐক্য এবং সংস্কারমূলক দাবির প্রতি জোর দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধনের দাবি জানানো হবে। তবে রাজনৈতিক দল ও সরকারের অবস্থান বিবেচনা করে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।

ছাত্রদের ঘোষণাপত্র আপাতত স্থগিত থাকলেও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা তৈরির প্রক্রিয়া তাদের দাবি বাস্তবায়নের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে। তবে সরকার ও ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কিভাবে এটি কার্যকর হবে, তা দেখার বিষয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উৎসাহ-উদ্দীপনা আর র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে শহরের নওযোয়ান মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কেডির মোড় দলীয় কার্যালয় সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা নেতৃতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় কুমার সরকারসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীর র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু, আমিনুল হক বেলাল, শফিউল ইসলাম রানা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক শফিউল আজম আজম টুটুল, মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিনা পারভিনসহ অন্যান্যরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সর্ব বৃহত ছাত্র সংগঠন। ছাত্রদল সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে এসেছে। এতদিন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আজ দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেক্সিমকোর ৩ কোম্পানিতে ২৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ
ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পেছানোর কারণ যা জানা গেল
নওগাঁয় ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রেমিট্যান্স আয়ে সপ্তম বাংলাদেশ, শীর্ষে ভারত
গাইড বই কোম্পানি সাথে ১৪ লাখ টাকা চুক্তিকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন
১ ঘণ্টায় বাংলাদেশ দখলের হুমকি দিয়েছে ভারতের নাগা সাধুরা
চার মাসে ম্যাজিকাল কিছু করা যাবে না: বিসিবি সভাপতি
দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ  
‘আজ বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৯ কোটি’  
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের সচিবালয়ের সামনে প্রতিবাদ, প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তির দাবি
ওমরাহ পালন করছেন অহনা রহমান, জানালেন নতুন বছরের শুভেচ্ছা
এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্ষবরণে কোনো উদযাপন হয়নি  
২০২৫ সাল হবে শেখ হাসিনা ও আ.লীগ নেতাদের বিচারের বছর: চিফ প্রসিকিউটর
ভারতের ‘র’-এর মাধ্যমে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুতের ষড়যন্ত্র
২০২৫ সালে বাংলাদেশ ফুটবলের সময় সময়সূচি
সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে দেব না, এটা আমার অঙ্গীকার: সেনাপ্রধান
বেলুন ও পায়রা উড়ানোর মাধ্যমে শুরু ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান  
ইসকনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা, অনুসন্ধান শুরু  
বছরের প্রথমদিন বই দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের দুঃস্বপ্ন: নির্যাতনের ক্ষত, ধর্ষণ ও মানসিক অসুস্থতা