ঘরে পড়েছিল মা ও দুই মেয়ের মরদেহ, গলাকাটা অবস্থায় বাবা উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীতে শোবার ঘরে পড়েছিল মা ও দুই মেয়ের মরদেহ। এবং বাবা আশিকুল হক মোল্লাকে (৪৫) বাড়ির উঠান থেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী পুরাতন বন্দর বাজার গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- আশিকুল মোল্লার স্ত্রী তহুরা বেগম (৩৫) তার দুই মেয়ে আয়েশা আক্তার তানিয়া (৮) ও জারিন (৫)।
আশিকুল চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লার ছেলে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নিজেদের এই বাড়িতে বাস করতেন আশিকুল। তিনি স’মিল, কাঠ বিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যবসা করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আশিকুলের গোঙ্গানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘরের বারান্দায় গলাকাটা অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। তার ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায়, তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ের মরদেহ ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছে। পরে দ্রুত আশিকুলকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আশিকুল মোল্লা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন বলে প্রতিবেশীরা জানান।
এ বিষয়ে নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আশিকুল পরিবারের সদস্যদের শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে কি কারণে এমন হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা এখনও অজানা।
খবর পেয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী ও দুই মেয়ের শ্বাসরোধে হত্যার পর আশিকুল আত্মহত্যার চেষ্টা করে।