নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি: প্রাথমিকে পাঠদান বন্ধ, সিদ্ধান্ত নেই মাধ্যমিকে
স্কুলের সামনে অপেক্ষায় অভিভাবকরা। ফাইল ছবি
গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা নওগাঁয়। প্রায় ১সপ্তাহ দেখা না মিললেও আজ কিছু সময়ের জন্য দেখা দিয়েছিল সূর্যের। কনকনে ঠান্ডার কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের নাজেহাল অবস্থা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়্যারলেস সুপার ভাইজার প্রদীপ কান্তি রায় মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রদীপ কান্তি রায় বলেন, মাঝে মাঝে কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়ে থাকে। এর ফলে তাপমাত্রা কমে যায়। এখন শৈত্য প্রবাহ চলছে। এছাড়া এই তাপমাত্রা উঠানামা করতে পারে। এরমধ্যে গত কয়েকদিন কুয়াশার কারণে সূর্য না উঠায় তাপমাত্রা বাড়ছে না। এ কারণে শীতের তীব্রতা কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এ অবস্থায় বুধবার থেকে নওগাঁর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ তারিখ) পর্যন্ত এই অবস্থা কার্যকর থাকবে বলে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম। শুধুমাত্র শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি তাপমাত্রা এরকম থাকে তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অপরদিকে জেলার মাধ্যমিক ও মাদরাসা বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নেই কোনো সিদ্ধান্ত। জানতে চাইলে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার তাপমাত্রা তিন ঘন্টা পরপর পরিবর্তন হচ্ছে। আমি সবসময় আবহাওয়া অফিসে খোঁজ খবর রাখছি। গতকাল ৯টার পর তাপমাত্র ছিলো ১২ ডিগ্রি ওপরে। এবং একই রকম থাকবে সেটা বলা হয়েছিল। আজ ৯ টার পর আমি আবহওয়া অফিস থেকে জানলাম ১৪ ডিগ্রি। শুধুমাত্র সকাল ৯টার তাপমাত্র দেখে ছাত্রছাত্রীদের বলা কি সম্ভব, প্রশ্ন করেন তিনি। তবে দুই এক দিন পর্যায়ক্রমে ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে অবশ্যই আমরা একটা ব্যবস্থা নিবো বলেও জানান এই কর্মকর্তা।