শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে কারণে নওগাঁর তিন আ.লীগ সংসদ সদস্যের নির্বাচনে ভরাডুবি

নওগাঁর তিন আ.লীগ সংসদ সদস্যের নির্বাচনে ভরাডুবি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক দলের মনোনয়ন না পেয়ে এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯০ ভোট। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত খোয়াতে যাচ্ছেন।

ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের মতো দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। অন্যদিকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন।

নির্বাচনের পর নওগাঁর পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ও জনবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ওই তিন সংসদ সদস্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।

ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক

ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯০ ভোট। ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দীন এ ধরণের ফলাফলকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা ভরাডুবি হিসেবে দেখছেন। তবে সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন ও নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পরাজিত হওয়ায় কেউই বিস্মিত নন। বরং অনেকে জোর দিয়ে বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত রায় পেতে ভোটারদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে।

মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক একজন বর্ষীয়ান নেতা। তিনি মান্দা থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এক সময় তিনি এ অঞ্চলের প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তবে বর্তমানে তার বয়স ৮০-এর ওপরে। বয়স ও অসুস্থতার কারণে গত পাঁচ বছর ধরে এলাকার জনগণকে তেমন সময় দিতে পারেননি। বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনে তাঁরই প্রভাব পড়েছে। তবে এত কম ভোট পাবেন এটা আশা করেনি।’

ছলিম উদ্দিন তরফদার

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান মামুদের পক্ষে ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্মদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান মামুন। তিনি বলেন, ‘ব্রহানী সুলতান মামুদ তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনি পরিচ্ছন্ন একজন রাজনৈতিক। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে থাকায় এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁর জয়টা অনেকটাই অনুমেয় ছিল। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী ও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ মোর্শেদ দলের পদ ব্যবহার করে অনেক অনিয়ম করেছেন। ভোটে তারই প্রভাব পড়েছে।’

নওগাঁ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট। ছলিম উদ্দিন তরফদার ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথের পক্ষে ছিলেন মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ছলিম উদ্দিন তরফদার, তাঁর ছেলে সাকলাইন আহমেদ, ভাগনে শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ছলিম উদ্দিন ও তাঁর স্বজনদের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর এলাকার প্রায় সবাই জানে। এটা ভোটে ভরাডুবি হওয়ার প্রধান কারণ।’

নওগাঁ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুকের কাছে ৬ হাজার ৭৫৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট। নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট। সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূণ্য হলে ২০২০ সালে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন আনোয়ার হোসেন।

আনোয়ার হোসেন

 

আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বলেন, আনোয়ার হোসেন মাত্র তিন বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই তিন বছরেই তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর ছেলে-মেয়েরা শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গিয়েছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই মানুষ তাঁকে আর বেছে নেননি। অন্যদিকে ওমর ফারুক সুমন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ওহিদুর রহমান রাণীনগর-আত্রাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি সব সময়ই মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া এবার ভোটে আঞ্চলিকতা একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। আত্রাই উপজেলার মানুষ হিসেবে ওমর ফারুক আত্রাইয়ের ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি ভোট পেয়েছেন। আর রাণীনগরে বেশি ভোট পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন।

অন্যদিকে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ১ লাখ ১০ হাজার ১৭১ ভোটের বিশাল ব্যবধানে তিনি জয়ী হয়েছেন। সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রাপ্ত ভোটের পরিমান ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭২৯ ভোট।

নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদকে ৫১ হাজার ৭৮৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নিজাম উদ্দিন জলিল। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭১ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪ ভোট।

উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. গোলাম মওলা স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকা ৪৭, নওগাঁ-২ আসনের বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ওই আসনের ভোট স্থগিত করে।

Header Ad
Header Ad

মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "একটি বৈষম্যহীন, উদ্ভাবনী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরি করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।"

তিনি জানান, 'আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি'—এ বছরের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা সৃজনশীলতার সঙ্গে প্রযুক্তির যোগসূত্র তুলে ধরে। সংগীতকে তিনি "হৃদয়ের ভাষা" আখ্যা দিয়ে বলেন, "এটি কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার শক্তিশালী হাতিয়ার।"

ড. ইউনূস আরও বলেন, "বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীরা লোকগান থেকে আধুনিক ধারায় নানাভাবে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করে বিশ্বকে মুগ্ধ করছেন। এ শিল্পে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি অর্থনৈতিক গতিশীলতা সৃষ্টি সম্ভব।"

তিনি মনে করেন, শিল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি যেমন সম্ভব, তেমনি প্রয়োজন মেধাসম্পদ আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ, যাতে শিল্পীদের সৃজনশীলতা সুরক্ষিত থাকে এবং নতুন প্রজন্ম উদ্ভাবনে উৎসাহিত হয়।

বাণীর শেষাংশে তিনি বলেন, "ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকার উদ্ভাবনী শক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উদযাপন করা হয়, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং মেধাসম্পদের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার

বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোলে প্রতারণার জালে ফেলে এক নারীর কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ৬ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫ টার দিকে বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় থেকে  স্থানীয় জনতা ধরে ৬ নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।

গ্রেফতারকৃত নারীরা হলেন- ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শিপনের স্ত্রী সাহানা আক্তার, ফিরোজের মেয়ে  ইভা আক্তার, ইয়াসিনের স্ত্রী সুলতানা খাতুন, পলাশের স্ত্রী মোর্শেদা, মালিলের স্ত্রী রাবেয়া ও জুয়েলের স্ত্রী নারগিস বেগম।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) পবিত্র বিশ্বাস জানান, বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় গ্রামের এক গৃহবধূ বেনাপোল বাজার থেকে ইজিবাইক চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পথিমধ্যে বোরকা পরা ৬ নারী ঐ ইজিবাইকে উঠে তাকে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীর চিৎকার দেয়। এসময় পথচারীরা এগিয়ে এসে ছিনতাইকারীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।  এরা পেশাদার প্রতারক ও ছিনতাইকারী জানায় পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

"সংস্কার না নির্বাচন—এই খেলা বাদ দিয়ে আগে বিচার নিশ্চিত করুন," বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন—জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনাগুলো গণহত্যা, যার বিচার না হলে দেশে কোনো ধরনের নির্বাচন বা সংস্কার অর্থহীন হয়ে পড়ে।

সারজিস আলম বলেন, "বর্তমান সরকারের বৈধতা শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে অন্য কোনো বিষয় প্রাসঙ্গিক নয়।" তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ২০২৪ সালের আগস্টে পূরণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সারজিস। তিনি বলেন, “আমরা যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করি, তারা পশ্চিমাদের অবস্থানের কথা বলে। কিন্তু শাপলা, পিলখানা বা জুলাইয়ের ঘটনায় যখন রক্ত ঝরল, তখন পশ্চিমারা কোথায় ছিল?”

তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই প্রজন্মের আবেগ নিয়ে খেলবেন না। এই প্রজন্ম ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাউকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পিছপা হবে না।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-

১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে;

৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে

৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার
‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই মস্কোয় গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত
পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
শিগগিরই স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী খুন
সৌদিতে মক্কার কাছেই জেনিফার লোপেজের নাচ-গান, ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যা বলল জাতিসংঘ
হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত