দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ২৯ টন ইলিশ গেল ভারতে
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে দুই দফায় ২৯ টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে দ্বিতীয় চালান পাঠানো হয়। এর আগে প্রথম চালান পাঠানো হয় ২০ সেপ্টেম্বর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল। তিনি জানান, বরিশাল থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে। টুটুলের মালিকানাধীন মাহিমা এন্টারপ্রাইজ। এছাড়া তানিশা এন্টারপ্রাইজ, মাসফি এন্টারপ্রাইজ, এআর এন্টারপ্রাইজ ও সি গোল্ড এন্টারপ্রাইজ।
অনুমতি পাওয়া রপ্তানিকারক প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ পাঠাতে পারবে। অনুমতি পেয়ে প্রথম চালান বুধবার রাতে পোর্ট রোড মোকাম থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ১৯ টন ইলিশ পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় চালানে ১০ টন পাঠানো হয়।
জানা গেছে, দ্বিতীয় চালানে পাঠানো মাছের দাম স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম। ভারতে রপ্তানি করা ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ শুক্রবার নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ৫৮ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ভারতে পাঠানো ইলিশের প্রতিকেজির দাম পড়ছে ১০ ডলার হিসেবে ১ হাজার ১০০ টাকা। স্থানীয় বাজারের তুলনায় ৩৫০ টাকা কম দামে মাছ গেছে ভারতে।
রপ্তানিকারক নীরব হোসেন টুটুল বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে ইলিশ নেই। সাগরেও ট্রলার যেতে পারছে না। পোর্ট রোডেও ইলিশের সংকট রয়েছে। তাই রপ্তানির জন্য ইলিশ কিনতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।
পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী জুয়েল জানান, শুক্রবার পোর্ট রোড বাজারে এলসি সাইজের ইলিশ ৫৮ হাজার, কেজি সাইজের ইলিশ ৬৩ হাজার, এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৬৮ হাজার ও দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ৭৬ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে।
পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী খান হাবিবুর রহমান বলেন, রপ্তানির নির্ধারিত পরিমাণের ইলিশ ভারতে রফতানি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুটি চালান গেছে। নদী ও সাগরে ইলিশ তুলনামূলক কম পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য স্থানীয় বাজারে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছে না ক্রেতারা।
যদিও বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে জালে। কারণ ওই সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে ইলিশ বাড়বে।
ইলিশ সংকটের কারণে দাম বেড়ে গেছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য বছর ইলিশের এ ভরা মৌসুমে মোকামে প্রতিদিন কোটি টাকার বাণিজ্য হতো। এখন সেখানে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়।