শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নরসিংদীতে বজ্রপাতে নারীসহ ৫ জনের মৃত্যু

নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে নারী ও কিশোরসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) পৃথক সময়ে রায়পুরা, মনোহরদী, শিবপুর ও নরসিংদী সদর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন- শিবপুর উপজেলার সাধারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩০), রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরেরচর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫), একই উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২), মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া (৩০) এবং নরসিংদী শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লার সুকুমার রায়ের ছেলে শুপ্তকর (১৪)।

নিহতদের স্বজনরা জানান, সকালে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন শিবপুর উপজেলার সাধারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে মো. খোকন মিয়া। পরে তাকে দ্রুত পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়াজ মোর্শেদ জানান, কৃষক খোকন মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জানান, বেলা ১১টার দিকে বজ্রপাতে নিহত হন উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের গৃহবধূ সামসুন নাহার। শামসুন নাহার বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে খড় আনতে গিয়েছিলেন। এসময় বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা শামসুন্নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিলক্ষা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আক্তারুজ্জামান শামীম জানান, দুপুর ২টার দিকে শিশুরা মাঠে ফুটবল খেলছিল। এসময় বজ্রপাত হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে জাবেদ মিয়া নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দুপুরে বাড়ির অদূরে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন পাতরদিয়া গ্রামের রায়হান মিয়া। হঠাৎ বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রায়হান। পরে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করেন। দুই মাস আগে ছুটিতে কাতার থেকে দেশে আসেন তিনি।

দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ মাহমুদ খাঁন বাহালুল জানান, রায়হানের বাবাও কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আজ রায়হান বজ্রপাতে মারা গেছেন।

এ ছাড়া নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার পুকুরে গোসল করতে গেলে বজ্রপাতে মারা যায় শুপ্তকর (১৪)। সে স্থানীয় সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ঘটনার বিষয়ে রায়পুরা ও শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাদের মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন রিসিভ করেননি এবং শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনিয়া জিন্নাতের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এভাবে বজ্রপাতের ঘটনায় নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, এসব মৃত্যুর ঘটনা খুবই আশ্চর্যজনক।

সতর্কতার বিষয়ে তিনি বলেন, বজ্রসহ বৃষ্টি হলে কেউ যেন বাইরে না যায়, ঘরে থাকলেও কেউ যেন খালি পায়ে না থাকে। এ ছাড়া বড় জাতের গাছের চারা রোপণ করারও পরামর্শ দেন তিনি। আর এতে করে জানমালের রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাদপন্থি শীর্ষ নেতা মাওলানা জিয়া বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

তিনি জানান, সাদপন্থি কর্তৃক টঙ্গীতে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া বিন কাসেমকে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদের অনুসারী মুসল্লিরা পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা সাদপন্থিদের মাঠে জোড় পালন করতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে ১৮ ডিসেম্বর ভোরের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে শুরায়ী নেজামের চারজন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হন।

সংঘর্ষের পর গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সাদ অনুসারীরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করেন।

Header Ad
Header Ad

আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে—গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত গুম-খুন থেকে গণহত্যার বিচার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল না, তদন্ত কর্মকর্তা ছিল না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন টিম করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে বিচার করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে চাই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো দেরি হচ্ছে না।

এ সময় আসামিদের হাতকড়া পরানো নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, মামলার শুনানির সময় ও আসামিদের হাতকড়া না পরানো নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আসামিদের আইনজীবী যিনি ছিলেন, তিনি বলেছেন শুনানির জন্য সে সময় ৩ মাস দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু ১ মাস দেওয়া হয়েছে। তখন আসামিদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি, এখনও আসামিদের হাতকড়া পরানো হচ্ছে না।

Header Ad
Header Ad

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত।

ইকোনমিক টাইমস আরো জানায়,ভূ-রাজনৈতিক কারণ বিবেচনায় তারা হাসিনাকে ফেরত দেবে না। ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনাকে বিসর্জন দেবে না।ভারত মনে করে এই প্রত্যর্পণে রাজি হলে প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।

উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরো বলেছে, বাংলাদেশের বর্তমান মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের চাপ থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না ভারত। অনুরোধটি তারা সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং এতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছেন, উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন। এই বিবেচনায় পর্যালোচনায় সময় নেবেন তারা। তাছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, রাজনৈতিক ধরনের অনুরোধগুলো কার্যকর করার সুযোগও নেই।

সূত্রগুলো মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরেন, তা হলে তার জন্য একটি অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ভারত দাবি করে দেশটির অতিথি গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যার মধ্যে তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাও অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য ভারতে হাসিনার নির্বাসন এটিই প্রথমবার নয়। ১৯৭৫ সালে তার পিতার হত্যার পর তিনি এখানে নির্বাসিত ছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফেরার চেষ্টায় থাকা আওয়ামী লীগের মনোবল বাড়াবে ভারতে হাসিনার উপস্থিতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার
আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস
গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  
জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে