সাগরে মিলল বিশালাকৃতির শাপলাপাতা, বিক্রি ৩৬ হাজারে
বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে তিন মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ। পরে মাছটি বিক্রি হয় ৩৬ হাজার টাকায়।
শনিবার (২০ মে) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুখখালী ঘাট থেকে মাছটি কেনেন আলী আহাম্মদ নামে এক পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী। এ সময় বিশাল আকৃতির মাছটি দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন।
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ উপকূলে বঙ্গোপসাগরে মোহাম্মদ আয়ুব মাঝির জালে বিশাল আকৃতির বাঘা শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। মাছটির ওজন ১২২ কেজি অর্থাৎ ৩ মণ ২ কেজি। এ ধরনের বড় মাছ মাঝেমধ্যে জেলেদের জালে আটকা পড়ে। এতে জেলেরা আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হন তেমনি মাছ শিকারে উৎসাহ পান তারা।
টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ার ট্রলারমালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, ’গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। শুক্রবার বিকালে জেলেরা সাগরে জাল ফেলেন। দুই ঘণ্টা পর জাল টানা শুরু করলে ভেসে ওঠে বিশাল আকারের একটি শাপলাপাতা মাছ। পরে অন্যান্য জেলের সহযোগিতায় মাছটি তারা ট্রলারে ওঠায়। এরপর শনিবার দুপুরে মাছটি ঘাটে এনে টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদের কাছে এক মণ ১২ হাজার টাকা ধরে ১২২ কেজি ওজনের মাছটি মোট ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
মাছ ক্রেতা আলী আহাম্মদ বলেন, ‘৩ মণ ২ কেজি ওজনের মাছটি আমি ৩৬ হাজার টাকায় কিনেছি। মাছটি বেশি দামে বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম আড়তদারের কাছে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শাপলাপাতা, এটি স্ট্রিংরে প্রজাতির মাছ। এই প্রজাতির মাছ অগভীর সমুদ্রে বেশি পাওয়া যায়। সমুদ্রের অগভীর স্থানে তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে শাপলাপাতা মাছ। জেলেদের বিভিন্ন সভা, সেমিনারে এসব শাপলাপাতা মাছ না ধরার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
এসআইএইচ