মশারি জালে ধ্বংস হচ্ছে নানা প্রজাতির ছোট মাছ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকার নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে অবাধে ধ্বংস করা হচ্ছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা। এই পোনা ধরতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে নানা প্রজাতির ছোট মাছ। যে কারণে দেখা দিতে পারে মাছের আকাল। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এই পোনা পাচার করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনমুখা, বুড়াগৌরঙ্গ, রামনাবাদসহ রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন নদ-নদীতে চলছে পোনা ধরার মহোৎসব। বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে, সাগর ও নদীর কূলে কখনো হাটু পানিতে আবার কখনো কোমর পানিতে মশারি জাল টানা হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর জাল টেনে নিয়ে আসা হয় কিনারে। জালে আটকা পড়া বিভিন্ন প্রজাতির পোনা রাখা হয় পানি ভর্তি একটি পাত্রে। সেখান থেকে জেলে পরিবারের নারী- শিশুরা মিলে চিংড়ির পোনা আলাদা করে রেখে এবং পানিগুলো ফেলে দেয় মাটিতে। ওই পানির সাথে রয়ে যায় বিভিন্ন প্রজাতির পোনা।
এলাকাবাসী জানান, এভাবে মাছ ধরা প্রতিরোধ করতে না পারলে রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকা থেকে বিলিন হয়ে যেতে পারে মৎস্য সম্পদ।
উপকূলবাসী জানান, জেলেদের কাছ থেকে নামমাত্র দামে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পোনা বিক্রি করে স্থানীয় দালালরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাও পরে মাঝেমধ্যে। এই তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে।
এ বিষয়ে মৎস্য ইনস্টিটিউটের জরিপ বলে, ওই পানির সাথে ৩৮ প্রজাতির চিংড়ি, ৬ প্রজাতির অন্য মাছ ও ১০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর লারভা ধ্বংস হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, অবৈধভাবে যেন কেউ চিংড়ির পোনা ধরতে না পারে। সেজন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এসআইএইচ