রং নম্বরে পরিচয়, মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রং নম্বরে পরিচয়ের পর অপহরণ করে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার (৮ মে) নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকসহ আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও মামলায় আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম নাজিমুল হক সুমন (২৬)। তিনি জেলার সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৪ মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে তার একজন সহপাঠীকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করত। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাথে একবার দেখা করার অনুরোধ করে। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়। এক পর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেয়েটিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যায়। ওই সময় সুমন ভিকটিমকে সদর উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর এলাকার তার খালা মর্জিনা আক্তারের ইসমাইলামিয়া চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগিতায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন এবং ভিকটিমকে তাদের বসতঘরে আটকে রাখে।
গত রবিবার (৭ মে) ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে একটি মোবাইল দেখে কৌশলে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
এসআইএইচ