৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারতীয় পুলিশ
ভারতীয় সীমান্তের ঢালু প্রদেশে নিহত হওয়ার ৩ দিন পর এক বাংলাদেশি রাজমিস্ত্রির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকালে শেরপুর সীমান্তের ১১১৬নং মেইন পিলার সংলগ্ন নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত মনির (৪৩) শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম খাড়ামোড়া গ্রামের মৃত মুন্সের আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এবার ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত পহেলা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিলেন। পরে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারে মনিরের মরদেহ ভারতের একটি হাসপাতালে আছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত মনিরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কী কারণে মনিরের মৃত্যু হয়েছে সেটা জানা যাবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, মনির আহত অবস্থায় ভারতের ঢালু প্রদেশে একটি স্থানে পড়েছিল। পরে খবর পেয়ে পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঢালু থানা পুলিশ। এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়।
এদিকে মনির মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানাতে পারে ভারতীয় পুলিশ। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া এ বিষয়ে ভারতের ঢালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসজি