কক্সবাজারে মাদক মামলায় ৯ জনের কারাদণ্ড
কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় ট্রলার থেকে সাড়ে ৪ লাখ এবং বাড়ি থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ৯ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ট্রলারমালিক সুলতান আহমদকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর বাকি আসামিদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দেন।
ট্রলারমালিক সুলতান আহামদ শহরের রুমালিয়ারছড়া পিটি স্কুল এলাকার মো. আবু বকরের ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রামগতির ৫নং ওয়ার্ডের আলেকজান্ডারের বাসিন্দা আবদুল মতলবের ছেলে আবদুর রউফ, রংপুর মিঠাপুকুরের বৈরাতিহাট সুজন গয়েশপুর, ইমাদপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আবদুল গফুরের ছেলে মো. আ. রাজ্জাক মিয়া, খাগড়াছড়ির রামগড় শালবাগান এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান, মিয়ানমারের আকিয়াবের রাচিডং রাজারবিল এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ, মংডু বুচিডং মুন্নিপাড়ার মো. আবদুল্লাহর ছেলে জাহিদ হোসেন, মৃত নুর বশরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর, সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. আবদুল হামিদ ও আবদুল রাজ্জাকের ছেলে মো. ওসমান গনি। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় সুলতান আহমদের ট্রলার থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এসময় ওই ট্রলারে থাকা ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে সুলতান আহমদের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুস্পষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে ৯
জনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না।
এসজি