ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বিদ্যালয়, গাছের মগডালে ঘরের চাল

কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আধাপাকা টিনশেড ভবনের চাল। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়লে প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি শ্রেণিকক্ষের আধাপাকা টিনশেড ভবনের চাল কয়েক'শ মিটার দূরে উড়ে চলে যায়। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হলে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হবে ওই বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা।
স্থানীয়রা জানান, এর আগেও ঘূণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রতিষ্ঠানটির শ্রেণিকক্ষের চাল উড়ে যায়। সেই সময় সরকারি সহায়তার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে শ্রেণিকক্ষগুলো সংস্কার করেন। আর এঘটনার রেশ না কাটতেই বৃহস্পতিবার বিকালে কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ে আবারও প্রতিষ্ঠানটির চাল উড়ে যায়। সেই সময় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বা শিক্ষকরা উপস্থিত না থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে, দ্রুততম সময়ের ভেতরে বিদ্যালয়টি সংস্কার করা না হলে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার সংশয় প্রকাশ করেন তারা।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মহাদেব সরকার বলেন, এটি এলাকার নারী শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি দ্রুতসংস্কার করা না হলে, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়বে। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়টির ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাস রুম মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ সরকার বলেন, বৃহস্পতিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বিদ্যালয়টি। ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বা শিক্ষকরা উপস্থিত না থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
তবে ঘূর্ণিঝড়ে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে দুইটা ভবন রয়েছে। এর একটি পাকা অপরটি আধাপাকা। আধাপাকা ভবনে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর ক্লাস হয়। তবে ঝড়ে আধাপাকা ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে।
এসএন
