শেরপুরের ৯ গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের ৯টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামায়াতে শতাধিক করে মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন।
জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া, গোবিন্দনগর ছয় আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া, ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম খামারবাড়িতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকার একাংশ নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবি করে সৌদি আরব, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদে নামাজ আদায় করে আসছেন।
চরকৈয়া গ্রামে ঈদের নামাজ পড়তে আসা আবু বক্কর বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রাইখে নামাজ আদায় করি। আমরা রোজাও রাখি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে। এ গ্রামের অনেক মানুষ একদিন আগেই রোজা রাখে ও ঈদ করে। নামাজ শেষ করে আমগর পোলাপানরা আনন্দ-উল্লাস করে।
পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ইউসুফ আলী বলেন, করোনার মধ্যে এভাবে একসঙ্গে এত মানুষ নামাজ আদায় করতে পারি নাই, এখন আমরা সবাই মিলে নামাজ পড়তে পারি। বিষয়টা অনেকের কাছে খারাপ মনে হলেও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা-ঈদ পালন করি।
নকলা উপজেলার চরকৈয়া এলাকার ইমাম মাওলানা মো. সারোয়ার জাহান বলেন, মূলত আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। নামাজের জামাত চলাকালীন সময়ে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ আবার আফগানিস্তান-নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখে আগাম ঈদ পালন করেন।
এসজি