পঞ্চগড়ে ফুফুাতো বোনকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে হত্যা

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৭ বছর বয়সী ফুফাতো বোনকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মামাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের পেড়ালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম-মহৎপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই নিহতের বাসার কিছুটা দূরে একটি ভূট্টা ক্ষেত ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই ধর্ষণ চেষ্টাকারী হাবিবুল্লাহ (১৩) কে আটক করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ চেষ্টাকারী হাবিবুল্লাহ ঢাকার উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। তার বাড়ি উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের শ্মশানকালী এলাকায়। সে ওই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। অপরদিকে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই শিশু স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
পুলিশ আরো জানায়, সম্প্রতি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসে হাবিবুল্লাহ। পরে সে গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের পেড়ালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার বিকালে সে তার ওই ফুফুতো বোনকে নিয়ে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বের হয়। পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে হাবিবুল্লাহ। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে হাবিবুল্লাহ। এতে শ্বাস বন্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন। তিনি বলেন, নিহতের গলায় শ্বাসরোধের দাগ ও মুখে দাগ দেখা যাচ্ছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে সামান্য দাগ দেখা যাচ্ছে। আমরা মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাব। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পেলে হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
ওসি আরও বলেন, ধর্ষণ চেষ্টাকারী হাবিবুল্লাহকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হবে। ঢাকাতেও হাবিবুল্লাহর কর্মকাণ্ড ভালো নয় বলে জেনেছি। সে নানা ছোটখাট অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
