কুমিল্লায় ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, ৭ বগি লাইনচ্যুত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট উপজেলায় মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার হাসানপুর স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের হাসানপুর স্টেশনে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি মালবাহী ট্রেন অপেক্ষমান ছিল। এসময় একই লেনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢুকে পড়ে মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ইফতারের মুহূর্তে ঘটা এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে থাকা পুলিশ সদস্য তানভীর জানান, ইফতার করার পর আমরা বসছিলাম হাত ধুইতে। এর মধ্যে একটা ধাক্কা লাগে, আওয়াজ হয়। মনে হয় লাইনচ্যুত হইছে। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে উল্টে গেল। আমরা ছিলাম সামনে।
ট্রেনের যাত্রী সাইদুর রহমান জানান, ইফতার করে বসছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই হুট করে সব আমাদের মাথার উপর পড়তে লাগল। আমরা উল্টে যাচ্ছি। পরে বুঝলাম, ট্রেন এক্সিডেন্ট করছে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসানপুর স্টেশনে একটি মালবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস মালবাহী ট্রেনটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন।
নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার বলেন, দুই ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এসজি
