নারীকে পিটিয়ে ঘরে আটকে রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকায় এক নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে বসতঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত নারীর নাম ছাদেকা ইয়াসমিন (২৫)। তিনি মোহাম্মদ ফারুকের স্ত্রী। গুরুতর অবস্থায় তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন-পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার নেছার আহমদ (৬০) ও কুতুবদিয়া উপজেলার নাজের হোসাইন (৩৫)। নাজের পেকুয়া বাজারের মডেল তারতীলুল কোরআন হিফজ মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি নেছার আহমদের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। ভুক্তভোগী নারীও নেছার আহমদের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নেছার আহমদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন ছাদেকা ইয়াসমিন। এই সূত্রে ছাদেকার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন নেছারের ছেলে বেলাল উদ্দিন। সেই টাকা চাইতে গিয়ে ছাদেকা একাধিকবার নাজেহাল হয়েছেন। সবশেষ গতকাল রাতে টাকা চাইতে গেলে বেলালের স্ত্রীর সঙ্গে ছাদেকার বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় ছাদেকা নানা গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া নাজের হোসাইন ঘর থেকে বের হয়ে লোহার খুন্তি দিয়ে ছাদেকাকে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে নেছার আহমদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় ছাদেকাকে মারধর করে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আটকে রাখা হয়।
আহত ছাদেকার স্বামী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, তাঁর স্ত্রী আঘাত সহ্য করতে না পেরে অচেতন হয়ে পড়েন। তখন মৃত ভেবে হামলাকারীরা তাকে ঘরের দ্বিতীয় তলায় আটকে রাখেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ওই নারীকে মারধরের পর নেছারের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক নাজের হোসাইনকে আটক করা হয়। পরে দিবাগত রাত ২টার দিকে বারবাকিয়া এলাকা থেকে নেছার আহমদকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ
