বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজশাহীতে জমে উঠছে ঈদের বেচাবিক্রি

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। মুসলমানদের ধর্মীয় এই উৎসবকে সামনে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজশাহীর ঈদ বাজার। ক্রেতা আকর্ষণে চমকপ্রদ সব ছাড় ও র‍্যাফেল ড্র এর পুরস্কার ঘোষণা করেছে দোকান ও শো রুম মালিকসহ মার্কেট কর্তৃপক্ষ। তবে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম এবার বাড়তি।

রবিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর ও সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর নিউ মার্কেট, সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেটসহ শো-রুমগুলো ঘুরে দেখা যায়, দিনে ক্রেতা-সমাগম কম থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই ভিড় বাড়তে শুরু করছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। আরডিএ মার্কেট, জেবি শপিং মলসহ ব্যান্ডের শো-রুমগুলোতে ক্রেতা-সমাগম ভালোই ছিল।

এবার মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো দোকানে পা ফেলার ঠাঁই নেই। আবার কোনো কোনো দোকানে ক্রেতার সংখ্যা কম। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে ঈদ বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। যদিও পোশাকের দাম বিগত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ায় অনেকেই এ দোকান, ওই দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দ ও সাধ্যের মধ্যে পোশাক কিনছেন।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার প্রত্যেকটা পোশাকের দাম বেশি। তারা কিনেছেনই বেশি দামে। যে কারণে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর এটাও সত্য মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল। এ কারণে অধিকাংশ মানুষই পছন্দ ও দামে কাটছাঁট করছেন।

রবিবার (৯ এপ্রিল) রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। তিনি জানান, তিনি এখনো বেতন পাননি। তবে পোশাকের দাম বেড়ে যাবে, এমনটা ভেবেই আগে এসেছেন। কিন্তু দাম রমজানের প্রথম থেকেই বাড়িয়ে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। রমজানের আগেও যেসব পাঞ্জাবি ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এখন ১৬০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। সামনে আরও দাম বাড়তে পারে, এমন শঙ্কা থেকে ১৭০০ টাকা দিয়ে একটি পাঞ্জাবি কিনেছেন।

আরেকজন ক্রেতা শাসমুল আরেফিন জানান, ব্যবসায়ীরা এতদিন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাত দিচ্ছিল। এখন আরও দুইটা অজুহাতযুক্ত করে যে দাম চাচ্ছেন তা অস্বাভাবিক। তারপরও কিছু করার নাই। নিজের জন্য না কিনলেও সন্তানদের জন্য কিনতে হচ্ছে। ছোট্ট কোলের বাচ্চাদেরও ৫০০ টাকার নিচে পছন্দসই কোনো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনতে হয়েছে।

এদিকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে শো-রুমগুলোসহ অনেক দোকানেও ছাড়ের বিজ্ঞাপন সাঁটানো রয়েছে। যদিও এসব বিজ্ঞাপন নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ ছাড়া ঈদকে সামনে রেখে থিম ওমর প্লাজা ও সাহেব বাজারের জেবি শপিং মলে পণ্য ক্রয়ের কুপনের ভিত্তিতে র‍্যাফেল ড্র এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সাহেববাজারের জেবি শপিং মলে কুপনের ভিত্তিতে র‍্যাফেল ড্র এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আয়োজন করেছে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম। ফোরামের সভাপতি রেইনবো কালেকশনের স্বত্বাধিকারী মো. মামানূর রশিদ ওরফে সুমন জানান, এখনো তাদের শপিং মলে বেচাবিক্রি শুরু হলেও সেভাবে জমে উঠেনি। আর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতন-বোনাস দেওয়া হলে এরপর পুরো দমে বেচাবিক্রি জমে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এবার ক্রেতা আকর্ষণে ফোরামের পক্ষ থেকে একটি মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে। ৫০০ টাকার ঊর্ধ্বে এই শপিং মলের যেকোনো দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করলেই ক্রেতারা কুপন পাবেন। ঈদের আগের রাতে র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন নগরীর গণকপাড়া এলাকায় অবস্থিত ইজি ও লোটো দুটো ব্যান্ডের শো-রুমেই ভালো ভিড় দেখা যায়। ক্রেতাদের চাপে রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলারও সময় পাননি ব্যান্ডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা। তবে পরে মুঠোফোনে ইজি ব্যান্ডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শামসুজ্জামান রানা জানান, তাদের ব্যান্ডের পোশাকের দাম এবার বাড়েনি। তবে মানুষের আর্থিক অবস্থার এবার ভালো না। অন্যান্যবার অনেক আগেই বেচাবিক্রি জমে উঠে। এবার একটু দেরিতেই জমে উঠবে বলে মনে হচ্ছে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সিউল শহরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছিল।

ইউন সুক ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের পর গ্রেপ্তার হলেন।

ইউন তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত ঘোষণা করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান ইউন। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Header Ad
Header Ad

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

রোবাইয়াত ফাতিমা তনি ও তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন আর নেই। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৩টা ৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিজের ফেসবুকে তনি লেখেন, "সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে।"

কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাদাৎ। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুর ও পরে ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় নিজের ফেসবুকে তনি জানিয়েছিলেন, "জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সব কিছু অনিশ্চিত জেনেও অনেক কষ্ট করে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নিয়ে এসেছি। বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।"

তনি তার ছেলের জন্য স্বামীর জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহাদাৎ হোসাইন আর ফিরে আসেননি।

শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে তনির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করা হলেও তনি সবকিছুর সাহসিকতার সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তনি ভালোবেসে শাহাদাৎকে বিয়ে করেন। শুরুতে পরিবারের আপত্তি থাকলেও পরে সব মিটমাট করে নেন তারা।

Header Ad
Header Ad

ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং বিতর্কিত ভূমিকার সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন দু-একজন করে ধরা পড়ছেন। আজ মতিউর, ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। সব তো এক দিনে ধরা যায় না। অনেকে লুকিয়ে আছে। খুঁজে খুঁজে একে একে তাদের সবাইকে ধরা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিতর্কিত ভূমিকার পরও কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনেক নবীন পুলিশ সদস্য, যারা ট্রেনিং শেষ করেছেন, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যারা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। প্রতিদিন ২-১ জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন আজ মতিউরকে ধরা হয়েছে। অনেকেই লুকিয়ে আছেন, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত, যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে তথ্য-প্রমাণ মিললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তবে ধরা পড়ার পরও এক ওসি পালিয়ে গেছেন।'

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পাশ্ববর্তী দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানাই। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের তালিকা থাকলে সেটি পুলিশের সদর দপ্তরে জমা দিন।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি