হুইল চেয়ার পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো রজোবালা
জেলার ডোমারে অক্সিজেন ব্যাংকের সহযোগীতায় ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারীর অর্থায়নে রজোবালা নামে চলাচলে অক্ষম এক নারীকে হুইল চেয়ার উপহার দেওয়া হয়েছে। রজোবালা উপজেলার বড়রাউতা মাঝাপাড়া এলাকার সুদারু বর্মনের স্ত্রী। শুক্রবার বিকালে প্রজোবালার বাড়িতে হুইল চেয়ারটি পৌঁছে দেন অক্সিজেন ব্যাংকের স্বেচ্ছা সেবকরা। এ সময় তারা প্রতিবন্ধী রজোবালা ও তার স্বামীর সাথে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেন।
স্থানীয় ব্রজেন বলেন, তিনবছর আগে অসুস্থ্য হয়ে প্যারালাইজড হয়ে পড়েন রজোবালা। স্বামীর সহযোগীতা নিয়ে সামান্য চলাচল করতে পারেন। স্বামী ভ্যান নিয়ে চলে গেলে অসহায় হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতেন তিনি। তার এই অসহায়ত্ব দেখে আমি অক্সিজেন ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবক সোহাগ মামুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অক্সিজেন ব্যাংকের সহযোগীতায় একটি হুইল চেয়ার উপহাড় দেন রজোবালাকে।
রজোবালার স্বামী সুদারু বর্মন অক্সিজেন ব্যাংকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তিন বছর থেকে অসুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে পড়ে রয়েছেন তার স্ত্রী। তিনি চলাফেরা করতে পারেনা। গরীবের সংসারে তাকে সকালে নাস্তা খাওয়ার পর ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পরি। আবার দুপুরে বাড়ীতে এসে তাকে গোসল করিয়ে পরিস্কার করার পর রান্না করে তাকে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর আবার ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পরি।
ভ্যান চালিয়ে যা আয় করি তা দিয়ে রাতে অসুধ কিনে বাড়ীতে আসি। এখন হুইল চেয়ার হওয়ায় তাকে বাড়ীর বাইরে বসায় দিলে পাড়ার যে কেউ তাকে নিয়ে ঘুরতে পারবে। রজোবালা হুইল চেয়ার পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন আল্রাহ তোমাদের ভালো করবে।
হুইল চেয়ার হস্তান্তরের সময় অক্সিজেন ব্যাংকের স্বেচ্ছা সেবক ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, পিয়াল, অর্থ, শাহিনুর, মানিক, অপু ও সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্বেচ্ছাসেবক অপু বলেন, আমরা সব সসময় অসহায় মানুষদের পাশে থেকে সহযোগীতার চেষ্টা করে থাকি। রজোবালা প্যারালাইজড হয়ে বাড়ীতে পরে ছিলেন। তার খবর শুনে তাকে আমরা একটি হুইল চেয়ার উপহার দিলাম।
এএজেড