পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী রৌশন আক্তার লিপি(২২) কে গলাটিপে হত্যার দায়ে মো. ইসমাইল হোসেন সুমন (২৫) নামের একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। তবে পলাতক থাকায় নিহতের স্বামী ইসমাইল হোসেন সুজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সুমি বেগম প্রকাশ সুরমা আক্তারকে বেকুসুল খালাস দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইসমাইল হোসেন সুমন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। নিহত স্ত্রী রৌশন আক্তার লিপি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ধীতপুর গ্রামের বাহার উদ্দিন ও আলেয়া বেগমের মেয়ে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রৌশনা বেগম লিপি ও ইসমাইল হোসেন সুজনের। বিয়ের পর স্ত্রী লিপি জানতে পারে তার স্বামী সুজন অবৈধভাবে সুমি প্রকাশ সুরমা আক্তার নামে অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় সুজন তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মরধর করত। ২০২০ সালে ২ মে সকালে সুজনের সঙ্গে তার স্ত্রী লিপির বাকবিতণ্ডা হয়। ওইদিন দুপুরেই স্বামীর ঘর থেকে লিপির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা আলেয়া বেগম একই দিন বাদী হয়ে লিপির স্বামী ইসলাইল হোসেন সুজন ও তার প্রেমিকা সুরমা আক্তারকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে লিপিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে নিহতের ময়নাতদন্তে লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন আসলে পুলিশ ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারী সুজন ও সুরমাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানিতে স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।
এসআইএইচ
