শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে আটকে রেখে দিনভর নির্যাতনের অভিযোগ

নরসিংদীর মনোহরদীতে ছাগল চুরির অভিযোগে ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী মনোহরদী থানার খিদিরপুর ইউনিয়নের কটিয়াদি এলাকায়।

ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম আঙ্গুর মিয়া (৫০)। তিনি কটিয়াদি এলাকার আওয়াল নবীর ছেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের ১০ থেকে ১৫ জন লোক আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সারাদিন আটকে রেখে তার উপর অমানষিক নির্যাতন চালায়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পরিবারের কাছে চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আঙ্গুর মিয়াকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি মেঝেতে শুয়ে আছেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন দেখা যায়। তাকে কোনো ধরনের চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি।

ভুক্তভোগীর স্ত্রী রিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলে সাদেকুল ইসলাম (২৩) নাকি ছাগল চুরি করেছে- এমন মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে সকাল ৯টার দিকে চেয়ারম্যানের লোকজন তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমাদের শত অনুরোধ চেয়ারম্যান রাখেননি। উল্টো তিনি এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ছেলের বাবাকে পুলিশের হাতে তুলে দিবে বলে জানায়।

তিনি আরও বলেন, ছেলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করতে আমার কোনো বাধা নেই। কিন্তু নিরপরাধ স্বামীকে ধরে এনে কেন মারপিট করা হবে। এর জন্য চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন তিনি।

এই বিষয় জানতে চাইলে খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব জানান, আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাকিব এর আগে এলাকা থেকে প্রায় ১০০ গরু-ছাগল চুরি করেছে। ছাগল চুরির সহযোগী মাহমুদুল হাসানকেও (১৬) আমরা আটক করেছি। মাহমুদুল স্থানীয় একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে এখন আমার কার্যালয়ে রয়েছে।

আঙ্গুর মিয়াকে সকালে আটক করার কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে বিকাল ৫টার দিকে লোকজন আঙ্গুরকে ধরে নিয়ে এসেছে।

ছেলের জায়গায় বাবাকে আটক করার প্রশ্নে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ছেলেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় বাবাকে আটক করা হয়। তবে তাকে মারধর করা হয়নি এবং টাকাও দাবি করা হয়নি। স্বজনদের এসব দাবি ভিত্তিহীন। ছেলের বাবাও চুরির সাথে জড়িত। আমি মনোহরদী থানা পুলিশকে জানিয়ে তারপর ধরে এনেছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে রাতে কল করে জানান-কটিয়াদি গ্রাম থেকে ছাগল চুরির অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় আমরা তখন ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। আর ছেলেকে না পেয়ে পিতাকে আটক করার বিষয়ে আমি জানি না। খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাদপন্থি শীর্ষ নেতা মাওলানা জিয়া বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

তিনি জানান, সাদপন্থি কর্তৃক টঙ্গীতে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া বিন কাসেমকে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদের অনুসারী মুসল্লিরা পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা সাদপন্থিদের মাঠে জোড় পালন করতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে ১৮ ডিসেম্বর ভোরের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে শুরায়ী নেজামের চারজন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হন।

সংঘর্ষের পর গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সাদ অনুসারীরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করেন।

Header Ad
Header Ad

আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে—গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত গুম-খুন থেকে গণহত্যার বিচার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল না, তদন্ত কর্মকর্তা ছিল না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন টিম করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে বিচার করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে চাই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো দেরি হচ্ছে না।

এ সময় আসামিদের হাতকড়া পরানো নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, মামলার শুনানির সময় ও আসামিদের হাতকড়া না পরানো নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আসামিদের আইনজীবী যিনি ছিলেন, তিনি বলেছেন শুনানির জন্য সে সময় ৩ মাস দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু ১ মাস দেওয়া হয়েছে। তখন আসামিদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি, এখনও আসামিদের হাতকড়া পরানো হচ্ছে না।

Header Ad
Header Ad

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত।

ইকোনমিক টাইমস আরো জানায়,ভূ-রাজনৈতিক কারণ বিবেচনায় তারা হাসিনাকে ফেরত দেবে না। ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনাকে বিসর্জন দেবে না।ভারত মনে করে এই প্রত্যর্পণে রাজি হলে প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।

উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরো বলেছে, বাংলাদেশের বর্তমান মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের চাপ থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না ভারত। অনুরোধটি তারা সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং এতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছেন, উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন। এই বিবেচনায় পর্যালোচনায় সময় নেবেন তারা। তাছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, রাজনৈতিক ধরনের অনুরোধগুলো কার্যকর করার সুযোগও নেই।

সূত্রগুলো মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরেন, তা হলে তার জন্য একটি অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ভারত দাবি করে দেশটির অতিথি গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যার মধ্যে তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাও অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য ভারতে হাসিনার নির্বাসন এটিই প্রথমবার নয়। ১৯৭৫ সালে তার পিতার হত্যার পর তিনি এখানে নির্বাসিত ছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফেরার চেষ্টায় থাকা আওয়ামী লীগের মনোবল বাড়াবে ভারতে হাসিনার উপস্থিতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার
আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস
গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  
জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে