সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহত শহীদুল-হেলালের বাড়িতে শোকের মাতম

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর শহীদুল ও হেলালের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তারা ছিলেন তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তাদের মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ।
নিহতরা হলেন-জেলার চাটখিল উপজেলার নাহারখিল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রামনারায়ণপুর গ্রামের ভূঁইয়াজি বাড়ির মৃত মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪) ও সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম ওরেফ শাহেদ (২৭) ।
জানা যায়, এক বছর আগে জীবিকার সন্ধ্যানে পরিবারের বড় ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন সৌদি আরবে পাড়ি জমান। এরপর তিনি একটি রেঁস্তোরায় চাকরি নেন। তার হাজাবি নামে ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে নিহতের ছোট ভাই মো.রিপন বলেন, ভাইয়াসহ আরো ৪ জন ওমরা করার জন্য এক সঙ্গে মক্কা নগরীর উদ্দেশে যাত্রা করে। যাত্রা পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনই মারা যান।
শোকার্ত ভাই রিপন আরও জানান, তাদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। এই শোকে পরিবারের সদস্যরা পাথর হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে গত বছরের এপ্রিল মাসে পরিবারের বড় ছেলে শহীদুল ইসলাম ওরফে শাহেদ জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ওমরাহ পালনের উদ্দেশে কর্মস্থল থেকে রওনা হলে মাঝপথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,শোকে পাথর হয়ে গেছে গোটা পরিবার। পরিবারের একমাত্র চালিকা শক্তিকে হারিয়ে সবাই এখন দিশেহারা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য,সৌদি আরবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসে ছিলেন ৪৭ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ছিল এবং তাদের মধ্যে নোয়াখালীর প্রবাসী শহীদুল ও হেলাল ছিলেন।
এসআইএইচ
