পদ্মার পাড়ে পড়ে থাকা গাড়িতে বস্তাবন্দী লাশ, নারী আটক

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মার পাড়ে পড়ে থাকা গাড়ি থেকে সম্রাট খান (২৯) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সীমা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে হত্যার পর পদ্মার পাড়ে পড়ে থাকা গাড়ি থেকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় পড়েন আবদুল মমিন ও তার স্ত্রী সীমা খাতুন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে হত্যার কথা অস্বীকার করেন সীমা খাতুন। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আটকের পর ওই নারী একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মমিন ঈশ্বরদীর বাঁশেরবাদা এলাকা থেকে গাড়িসহ লাশ নিয়ে আসেন পাবনার পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মার পাড়ে। পরে গাড়ি সেখানে রেখে চলে যান।
এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, গত শুক্রবার গাড়িসহ চালকের খোঁজ জানতে মালিক থানায় এসে চালক সম্রাটের মুঠোফোন নম্বর দেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নম্বরটির সর্বশেষ অবস্থান জানা যায় পাবনার ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের একটি দলকে তখন ওই এলাকায় পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকালে পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে ওই নারীর বাড়িতে মুঠোফোনটি বন্ধ হয় বলে নিশ্চিত হন। কিন্তু সীমা প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করছিলেন না। পরে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে গাড়ির মালিক আনিসুর রহমান জানান, সীমা পুলিশকে প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন সম্রাট তাঁদের বাসায় এসে মাথা ব্যথার কথা বলেন। তখন তার স্বামী মমিন ওষুধ আনতে গেলে সম্রাট তার সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করার চেষ্টা করলে তিনি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেন। পরে স্বামী বাসায় ফিরলে দুজন মিলে লাশ বস্তায় ভরে গাড়িতে নিয়ে বের হন। দুজন কিছুক্ষণ রাস্তায় ঘুরে লাশ ফেলার জায়গা পাননি। তখন সীমাকে বাড়িতে রেখে তার স্বামী গাড়িতে লাশ নিয়ে বের হন।
এসআইএইচ
