অজ্ঞাত রোগে একই গ্রামের শতাধিক গরুর মৃত্যু

জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের জোরপুকুর, ব্যাংক পুকুর, ভেলা পুকুর ও ছয় ঘোড়িয়া গ্রামে দুই মাসেরে ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে প্রায় একশ গরু মারা গেছে। যার বাজারমূল্য কোটি টাকার অধিক।
এলাকাবাসী জানান, আতঙ্কে খামারীরা কম দামে গরুগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। আর যারা গরু বিক্রি করেনি তাদের গরুগুলোও মারা যাচ্ছে। তবে কি কারণে মারা যাচ্ছে তা কেউ বলতে পারে না। এমনকি চিকিৎসক ও বলতে পারছে না এই রোগের কারণ। এভাবে চলতে থাকলে তো গরু পালন করা খুবই কঠিক হয়ে পড়বে।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব জানায়, পনেরো দিনের ব্যবধানে তার পাঁচটি গরু মারা যায়। স্থানীয়ভাবে পল্লী চিকিৎসা দেওয়ার দুই ঘন্টার ব্যবধানে তার গরুটি মারা যায়। তিনি বলেন, বছর খানেক আগে আমি একটি গরুর বাছুরের চিকিৎসা করার জন্য উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার বাছুরটি মারা যায়। যার ফলে আমার ৫ টি গরু মারা গেলেও হতাশ হয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা পশু হাসপাতালে আমি নিয়ে যায়নি।
খামারী মুসলিম উদ্দিন জানান, আমার দুইটি গরুর সমস্যা দেখা দিলে আমি চিকিৎসককে অবগত করি। ডাক্তার চিকিৎসা দেওয়ার পরেও ভালো না হলে উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক জানায় এ রোগের কারণ এখনো কেউ জানে না এবং এ রোগের ওষুধও নেই উপজেলা পশু হাসপাতালে।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মৌসুমী আক্তার বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পরে গ্রামটিতে গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছি এবং তরকা ও বদলা রোগের টিকা কার্যক্রম করেছি।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জানান, বিষয়টি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। যতটুকু প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া দরকার তিনি দিচ্ছেন।
এএজেড
