লক্ষ্মীপুরে কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরের টুমচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রুহুল আমিন নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় ৫ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডিতরা হলেন সিরাজুল ইসলাম, ভুলু মিয়া ও মো. মাসুম। দণ্ডিত তিনজনই সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর গ্রামের বাসিন্দা। সিরাজুল ও মাসুম ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এবং ভুলু হাবিব উল্যার ছেলে। খালসাপ্রাপ্তরা হলেন নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, ইউসুফ, জান্নাত আরা ও হোসনেয়ারা বেগম।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, আসামিদের সঙ্গে ভিকটিম রুহুল আমিনদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১ মার্চ দুপুরে নামাজের জন্য বের হলে রুহুল আমিনকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে আসামিরা। এতে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার ছেলে ছেলে সুমন মিয়াকেও মারধর করা হয়।
পরে আহত অবস্থায় রুহুল আমিনকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই দিনই সুমন বাদী হয়ে তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পর ওই বছরেরই ১৮ জুলাই পুলিশ সোহাগ হোসেন নামে একজনের নাম বাদ দিয়ে ৮ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষীগণের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় প্রদান করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, কৃষক রুহুল আমিন হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এএজেড
