নদীকে বাঁচাতে শক্ত উদ্যোগ নিতে হবে: এমপি রিপু

বাঁচাও নদ, বাঁচাও নদী, বাঁচতে চাও, সবাই যদি এই স্লোগানে বগুড়া জেলা নদী রক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া শাখা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালী শেষে বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, তিনদিনব্যাপী নদী মেলার উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথি নদী দখলকারীদের হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, আজকে আমরা যারা নদী দখল করি তারাই এমন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হই। করতোয়া নদীর পাড়ে পাড়ে যেয়ে প্রতিবাদ করেন এই নদী আমাদের। এই করতোয়া নদী বাঁচাতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হবে।
এই নদী কেউ দখল করতে পারবে না। শহরের মধ্যে অন্যান্য দেশে এমন নদী থাকলে তারা সেটিতে সুন্দর করে গড়ে তোলে। আর আমাদের বগুড়ার এই করতোয়া নদী মৃত্যুতে পরিণত করতে যেন এই নদী দখলদাররা উঠে পড়ে লেগেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ খোকন পার্কে ৩দিন ব্যাপী বগুড়া নদী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংসদ সদস্য আরও বলেন, নদীকে বাঁচাতে শক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। সবাই একত্রে আন্দোলন করে হলেও এই নদীকে আমরা রক্ষা করতে চাই। শীঘ্রই এই ব্যাপারে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীনেশ চন্দ্র সরকার, পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ সিদ্দিকী, বিট শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহাবুদ্দিন সৈকত, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডোনিস তালুকদার বাবু প্রমূখ।
মেলায় ২৫ টি স্টলের মধ্য ১৫ টি তে নদীর নামে স্টল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে করতোয়া নদী, সুখদহ নদী, বাঙ্গালী নদী, ইছামতি নদী, চন্দ্রবতী নদী, নাগর নদী, ভদ্রাবতী নদী, বেলাই নদী, বানিয়াইয়ান নদী, গাংনাই নদী, মহিষাবান নদী, গজারিয়া নদী, হলহলিয়া নদী এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে একটি স্টল দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে বগুড়ার নদীগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
এএজেড
