রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নির্বাচন নিয়ে সাতক্ষীরার রাজনীতি- পর্ব ৪

নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রচারে নেই অগ্রগতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে অনড় থাকলেও তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখছে। অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকারের সঙ্গে ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব’ চুক্তি করে রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী।

প্রকাশ্যে কোনো আন্দোলনে না থাকলেও যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগা এই সংগঠনটি গতবছর বিএনপি জোট থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। আর দেশের ৩০০ আসনের বিপরীতে ইতোমধ্যে ১২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। তলে তলে সংগঠনকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গোপনে নির্বাচনী কার্যক্রমও চালাচ্ছে দলটির নেতা-কর্মীরা। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবার চোখ এখন জাতীয় পার্টির (জাপা) দিকে!

১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ৫টি অংশে ভাগ হয়েছে। বর্তমানে জাপার মূল অংশ নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বর্তমান সংসদে জাপার মূল অংশের ২৪ সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি বড় ধরনের একটা ফ্যাক্ট হলেও জাতীয় পার্টিতে নাটকীয়তা নতুন কিছু নয়।

বায়ুদূষণে রাজধানী ঢাকার যেমন বেহাল দশা, রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থাও বর্তমানে তেমন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুর পর দেবর-ভাবির বিরোধে বর্তমানে জাতীয় পার্টির অবস্থা ‘হ-য-ব-র-ল’ হলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নতুন করে দলটি কোনো পলিটিকাল ড্রামা দেখাবে কি না? সেটাই এখন ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের কাছে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো যখন তৎপর তখন ব্যতিক্রম অবস্থানে জাতীয় পার্টি। টানা দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টি দেশের প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও সেই অর্থে সাতক্ষীরার শহর থেকে গ্রামপর্যায়ে জাতীয় পার্টি নিজেদের জায়গা ও কর্মী সমর্থক বাড়াতে পারিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে চার পর্বের ধারাবাহিকতার আজ শেষ পর্বে থাকছে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ও দলটির আদ্যোপান্ত নিয়ে।

টানা দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টি (জাপা) বিরোধী দলের ক্ষমতায় থাকলেও সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টির অবস্থান নড়বড়ে। কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বন্দ্বে প্রভাব পড়েছে তৃণমূলে। বর্তমানে সাতক্ষীরায় সে অর্থে (শহরকেন্দ্রিক ব্যতীত) দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই বললেও চলে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে ২টি আসনে জয় পায় জাতীয় পার্টি। তবে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচনে আসনগুলো আর ফিরে পায়নি দলটি।

সাতক্ষীরা-১: জেলার কলারোয়া ও তালা উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-১ আসন। এ আসন থেকে সর্বশেষ ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ দীদার বখত। সে বারের নির্বাচন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ দেশের অধিকাংশ প্রধান দলই বর্জন করে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ১৯৮৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর সৈয়দ দীদার বখত এরশাদের মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ২০০০ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন কিন্তু বিএনপি থেকে সাতক্ষীরা-১ আসনের মনোনয়ন না পাওয়ায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগদান করেন। পরে তিনি পুনরায় জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসেন এবং ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলেও প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের কম ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তার। তবে জেলার ৪টি আসনে অবস্থিত ৭টি উপজেলার মধ্যে দিদার বখতয়ের নিজ উপজেলা তালাতে জাতীয় পার্টি সাংগঠনিকভাবে অনেক মজবুত। এই আসনটিতে সাবেক সংসদ ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সুবাদে এখনো বেশ জনপ্রিয় তিনি। এ কারণে সত্তরোর্ধ্ব সৈয়দ দীদার বখত-এ ভরসা রাখতে হবে জাতীয় পার্টির। জাতীয় পার্টি থেকে সাতক্ষীরা-১ আসনে সৈয়দ দীদার বখত যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হবেন সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।

সাতক্ষীরা-২: মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ আসনে জয় পায় জাতীয় পার্টি। এরপর অনুষ্ঠিতব্য দুটি সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী এ আসন থেকে জয় পাইনি। বরং কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় এ আসনে জামানত হারাতে হয় জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনে এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় জাপার নেতা শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আজহার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা-৩: এই আসন থেকে এখন পর্যন্ত একবার জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. স ম সালাহউদ্দিন সরদার। এর আগে ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলে সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী এ আসন থেকে জয় পাইনি। তবে এবারের নির্বাচনে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নের তালিকায় অ্যাড. স ম সালাহউদ্দিনসহ দেবহাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল ফজলের নাম শোনা যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা-৪: সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির গোলাম রেজা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ আসন ফিরে পায়নি জাতীয় পার্টি। তবে এই আসনে জাতীয় পার্টির যেমন প্রভাব রয়েছে তেমন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাব থাকায় এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্মুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানসহ আরও কয়েকজন।

দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীর ভাবনা: জাতীয় পার্টির প্রধান দুই কর্ণধার দেবর-ভাবির বিরোধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, ইতোপূর্বে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরোধের কারণে দলটি আজ ৫ ভাগে বিভক্ত। তবে সবার মধ্যে যদি ঐক্য থাকত তাহলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ-বিএনপির চেয়ে দেশের অন্যতম একটা রাজনৈতিক দল হতে পারত।

এবারের নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চান তারা? প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলেন, আমরাতো এখনো এটা জানি না এবার জাতীয় পার্টি মহাজোটের শরিক হয়ে নির্বাচন করবে নাকি মহাজোট ব্যতীত নির্বাচন করবে। সম্প্রতি শুনছি জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তবে যদি সেটা হয় তাহলে সাতক্ষীরার অনেক আসন যোগ্য প্রার্থীর সংকটে ভুগবে বলে জানান তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাবনা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিষয়ে কথা হয় দলটির অনেক কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। তারা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়াতে চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেটা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ইতোমধ্যে গণ্যমাধ্যমকেও জানিয়েছেন।

দেবর-ভাবির বিরোধ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না? প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেবর-ভাবির বিরোধ প্রভাব ফেলবে না।

দলের মধ্যে যে সমস্যাটা ছিল সেটা মিটে গেছে দাবি করে তারা বলেন, জাতীয় পার্টি কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। আর সে লক্ষ্যে তিন স্তরে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে।

তবে সূত্র বলছে, জাতীয় পার্টি এখন ঘর সামলাবে নাকি দেবর-ভাবির বিরোধে বিভক্ত জাপার তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করবে? সেটা নিয়ে রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেবর-ভাবির নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। এ কারণে এবারের নির্বাচনে ষষ্ঠবারের মতো জাপা বিভক্ত হবে নাকি ভিন্ন কোমো চমক দেখাবে সেটাই এখন ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনদের কাছে।

সব মিলিয়ে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জামায়াতের জোট ছাড়ার ঘোষণা, বিএনপির যোগ্য প্রার্থীর সংকট, জাতীয় পার্টির দেবর-ভাবির বিরোধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হওয়ায় এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো দলের প্রার্থীকে জয় পেতে হলে তরুণ ও ভাসমান ভোটারদের সমর্থন লাগবে। অন্যথায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে জেলার সবকটি আসনে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক