পঞ্চগড়ে সংঘর্ষ: আরও ৩ মামলা

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে আরও ৩টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এনিয়ে মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩টিতে। এর মধ্যে তিনটি মামলাই পঞ্চগড় সদর থানায় দায়ের করা হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এসব মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯০ জনে।
সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করার পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা।
২৩টি মামলার মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় ১৮টি ও বোদা থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের ট্রাফিক অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা দান, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিস্ফোরণ ঘটানো, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বেশ কিছু অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ১৬টি ও বোদা থানায় ৪টিসহ ২০টি মামলা, র্যাবের গাড়ি পোড়ানোয় র্যাবের পক্ষ থেকে একটি এবং আহমদীয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলা বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ও বোদা থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে মোট আসামি করা হয়েছে নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ হাজার জনকে।
এদিকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের মোতায়েন করা রয়েছে। অন্যদিকে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের দুইটি মসজিদসহ আহমদনগর নতুনবন্দর ফুলতলা শালশিরিসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পুলিশ, এপিবিএন সদস্যদের টহল ও অবস্থান জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এমএম সিরাজুল হুদা বলেন, আমরা এ ঘটনায় আমরা ২৩টি মামলা দায়ের করেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরা হচ্ছে। অযথা কাউকে হয়রানি বা আসামি করা হবে না। সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। বর্তমানে পঞ্চগড়ের পরিবেশ, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা।
এসএন
