পঞ্চগড়ে ১৩ মামলায় আসামি ১১ হাজার, গ্রেপ্তার ১৩৬

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরও ৩টি মামলা দায়ের করেছে। ৩ মামলায় অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নতুন করে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় এ মামলাটি করে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থানায় ১১টি ও বোদা থানায় ২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় নামীয়সহ অজ্ঞাত ১১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩৬ জনকে।
এদিকে ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিক হয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি। দূর হয়েছে মানুষের মনে উৎকণ্ঠা ও ভয়-ভীতি। দোকানপাটে বেড়েছে ভিড়, বেড়েছে বিক্রিও। সড়কে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আগের মতোই সড়কে যান চলাচল করছে। নিয়মিত আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস জেলা থেকে ছাড়ছে। জেলা শহর জুড়ে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। অফিস-আদালত পাড়ায় মানুষের মাঝে কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে। তবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের অবস্থান ও টহল কমে গেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে স্বল্প সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আহমদ নগর, নতুন বন্দর, ফুলতলা, শালশিরিসহ এর আশপাশের এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুলিশের তৎপরতা ও উপস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটা কম। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।
এদিকে এ ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবে জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে তেতুঁলিয়া পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এমএম সিরাজুল হুদা বলেন, আমরা এ ঘটনায় আরও মামলা করব। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরা হচ্ছে। অযথা কাউকে হয়রানি বা আসামি করা হবে না। সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের সময় পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ, পথচারীসহ অনেকেই আহত হন।
এসজি
