'জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি'
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেছেন, 'আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারী পুলিশ তারই অংশ। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে নারী পুলিশের অবদান আছে। আইন-শৃঙ্খলা, উন্নয়ন কাজসহ সর্বত্রই নারী পুলিশের ছোয়া আছে'।
৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকাপ্রকাশকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য 'ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরাসন'। বাংলাদেশ পুলিশ জেন্ডার বৈষম্য নিয়েই কাজ করছে। আমরা জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছি।
এসময় প্রতিবেদকের আরেক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, 'নারীরা তো ইজি এক্সেস আর পুলিশ হচ্ছে জনগণের বন্ধু। নারীর কাছে মানুষ তার মনের কথাটা বলতে পারে'। নারীর জন্য কর্মক্ষেত্র কতটা কঠিন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অন্যান্য চাকুরির চেয়ে এ কাজের ধরণটা আমাকে আলাদা করে দিয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে কর্মক্ষেত্র অনেকটাই সহজ। এটা হয়তো আমার আত্মবিশ্বাস ও ইউনিফর্মের কারণে'।
এসময় নারীদেরকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, 'সবসময় আমি একটা কথা বলি প্রত্যেকটা মেয়েকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কারণ যখন আপনি আত্মবিশ্বাসী হবেন আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তৃণমূল থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের সবাই যদি আত্মবিশ্বাসী হয়, নিজের মর্যাদাটা বোঝে তাহলে নারীদের সম্মান আরো বাড়বে। আর আমাদের সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে। কোন অন্যায়কে চেপে যাওয়া যাবে না। যাতে করে যারা অন্যায় করছে তারা আইনের আওতায় আসে'।
উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২৫তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান (পুলিশ ক্যাডারে) অধিকার করে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ গত ২৪ আগস্ট তিনি নড়াইলের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
এএজেড