মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারীদের কাঁধেই হবিগঞ্জের প্রশাসন

 

হবিগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইশরাত জাহান নামে একজন নারী। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়াংকা পাল নামে আরেক নারী। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আরও ৩ নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করছেন। আর জেলার ৯ উপজেলার চারটির নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন নারী। প্রকৃতপক্ষে হবিগঞ্জের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের অধিকাংশই পালন করছেন নারীরা। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে তাদের দক্ষতা ও সততাও পুরুষের চেয়ে ঈর্ষণীয়।

হবিগঞ্জের দ্বিতীয় নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইশরাত জাহান। তার আগে সাবিনা আলমকে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে পায় হবিগঞ্জবাসী। ২২তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা ইশরাত জাহান ২০২১ সালের ৬ মার্চ হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি যখন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন করোনার মারাত্মক প্রকোপ ছিল। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তারপরও তিনি সেই ক্রান্তিকাল সুন্দরভাবে অতিক্রম করেছেন। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে সফলতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে প্রিয়াংকা পাল হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর এই পদে যোগদান করেন।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন আয়েশা আক্তার নামে আরেক নারী। ৩৪তম বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর ওই পদে যোগ দিয়েছিলেন।

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নাহিদা সুলতানা দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ৩৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা। এ বছরের ৯ জানুয়ারি এ পদে যোগদান করেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন নাজরাতুন নাঈম। তিনি বিসিএস ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা।

বিসিএস ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা রয়েছেন জেলার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে। তিনি ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে রয়েছেন ৩৮তম বিসিএস কর্মকর্তা মোছা. তাসনিম জাহান। তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইসিটি শাখা, শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা, পর্যটন সেল, করোনা সেল, শুদ্ধাচার সংক্রান্ত দপ্তরের দায়িত্বে পালন করছেন।

সুস্মিতা সাহা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ৪০তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে যোগদান করেন।
একই ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা সুমি রানী বল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের লাইব্রেরি ফরম ও স্টেশনারি শাখার দায়িত্বে রয়েছেন। এই নারী কর্মকর্তা ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর যোগ দেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষ বিভিন্নভাবে নিজেকে বিভিন্ন গণ্ডিতে সফল বলে মনে করেন। কেউ হয়ত চিন্তা করেন একটা পেশাগত জীবনে তার নিজের একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে নিজেকে সফল মনে করেন। আমরা যারা প্রশাসনে আছি আমরা এভাবে চিন্তা করি, আমরা সবসময়ই বলি জনমুখী প্রশাসন, তাই আমরা যখন দেখি আমাদের সেবায় মানুষ সন্তুষ্ট, জনগণ সন্তুষ্ট, তাহলে আমরা মনে করি সফলভাবে সেবা দিতে পেরেছি। এখানে নিজেকে সফল বলে মনে করি।

ইশরাত জাহান নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তিনি সবসময় আমাদের নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমাদের কর্মজীবনে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনেও যদি বলি নারীর ক্ষমতায়ন, নারীকে কর্মে নিযুক্ত করা, প্রতিটা ক্ষেত্রে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার কারণেই আসলে আমরা আজকে জেলা প্রশাসকসহ বড় বড় পর্যায়ে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের মেয়েরা। সেই পরিবেশটা তিনি তৈরি করে দিয়েছেন। এখন একজন মেয়ের যেকোনো কাজ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদি নিজের ইচ্ছা থাকে তাহলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা এবং যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বা দায়িত্বশীল জায়গায় এখন মেয়েরা কাজ করতে পারে। সেই অবস্থা এখন তৈরি হয়েছে। আগের মতো সেই পরিস্থিতি কিন্তু নেই।

কর্মক্ষেত্রে নারী হিসেবে কী রকম প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন এ প্রশ্নের উত্তরে ইশরাত জাহান বলেন, মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতা আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। হয়ত এমন হয় যে, একসঙ্গে আমাদের অফিসের কাজ করতে হচ্ছে, আমাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনা করতে হয়। রাতে হঠাৎ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে যেতে গেলে নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে হয়। কিন্তু তারপরও এগুলো আমরা এখন মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি। এখন কিন্তু প্রত্যেক মেয়ে দেখবেন যে যার যার জায়গা থেকে সব কাজেই কিন্তু তারা যাচ্ছে। তাদের কোনোভাবেই দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই।

লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নাহিদা সুলতানা বলেন, নারীদের ক্ষমতায়নে পুরুষরাই সবচেয়ে বড় বাধা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা এখনো সমধিকার পায়নি। তবে আমার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অন্যরকম। আমার এ অবস্থানে আসার পেছনে অবদান রয়েছে আমার পিতা আর স্বামীর।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল