রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘৭ মার্চের ভাষণ শুনেই বুঝেছি যুদ্ধ ছাড়া বিকল্প নাই’

‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ শুনেই আমরা বুঝেছি যে এ জাতিকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পথ ছাড়া আমাদের স্বাধীনতার আর কোনো বিকল্প নাই। তাই ৭ মার্চের ভাষণের পরই যুদ্ধের জন্য ঘর ছেড়ে ট্রেনিং নিতে বেরিয়ে পড়ি, যুদ্ধ করি। এদিকে আমি যুদ্ধে যাওয়ায় হানাদাররা আমার বাবাকে মেরে ফেলে। খবর পেয়ে এসে বাবাকে দাফন করে আবারও যুদ্ধে যাই।’

কথাগুলো বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বতর্মান বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মোতালেব মৃধা। ৭ মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধের সেই স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি বলেন, ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। ৩ ডিসেম্বর বরগুনা মুক্ত হওয়ার পর আমরা পাথরঘাটায় গিয়ে অবস্থান করি। এর মধ্যে শুনতে পারি ১২ ডিসেম্বর হানাদাররা আমার বাবাকে মেরে ফেলে। এরপর আমি বরগুনা এসে বাবাকে দাফন করে মায়ের সঙ্গে দেখা না করেই আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতি নেই। আমি এবং তৎকালীন ৯ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর বুকাবুনিয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড আলমগীর সার্কিট হাউজে অবস্থান নেই। ১৬ ডিসেম্বর রেডিওর মাধ্যমে প্রথম জানতে পারি দেশ স্বাধীন হয়েছে। এর মধ্যে তৎকালীন ওসি সাহেব এসেও আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার খবর দেন। বাবার মৃত্যুতে হৃদয় ভারাক্রান্ত থাকলেও মুক্তির আনন্দে সেদিন ওয়াবদা এলাকায় গিয়ে ১ হাজার গুলি ছুড়ে বিজয়োল্লাস করেছিলাম।

মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধাসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পরে বরগুনার মুক্তিকামীরা রাইফেল, বন্দুক ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বরগুনার বিভিন্ন স্থানে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুতির মধ্যে ২৬ এপ্রিল পাকবাহিনী পটুয়াখালী জেলা দখল করে ফেলে। এ যুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ভয়ে বরগুনার মুক্তিযোদ্ধারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।

পাকবাহিনী ১৪ মে বরগুনা এসে বিনা বাধায় বরগুনা শহর দখল করে এবং পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর তীরে নির্মম গণহত্যা চালায়। তারপর অন্য থানাগুলো দখল করে পটুয়াখালী চলে যায়। ২৬ মে পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন শাফায়াতের নেতৃত্বে ৪ জন পাক সেনা বরগুনা আসে এবং ২৯ ও ৩০ মে বরগুনা জেলখানায় ৭৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে। তাদেরকে জেলা কারাগারের দক্ষিণ পাশে গণকবর দেওয়া হয়।

এদিকে বরগুনার তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা আধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যায়। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে তারা বুকাবুনিয়ার সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র আবদুস সত্তার খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ২১ সদস্যের একটি দল বরগুনাকে মুক্ত করার পরিকল্পনা নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে বেতাগীর বদনীখালী নামক স্থানে তারা অবস্থান নেয়। তারা তাদের এক সহকর্মীকে র‌্যাকি করার জন্য বরগুনা পাঠায়। তার সংকেত পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একটি বড় বাচারী নৌকাযোগে বিষখালী নদী দিয়ে বরগুনা রওনা হয়। রাত ৩টার দিকে তারা বরগুনার খাকদোন নদীর তীরে পোটকাখালী নামক স্থানে অবস্থান নেন।

বরগুনাকে মুক্ত করার কৌশল হিসেবে তারা বরগুনা কারাগার, ওয়াপদা কলোনী, জেলা স্কুল, সদর থানা, ওয়ারলেস স্টেশন, এসডিও'র বাসভবনসহ বরগুনা শহরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন। এরপর তারা হেঁটে বরগুনা শহরে এসে যে যার অবস্থান নেন। তারা ফজরের আজানকে অভিযান শুরুর সংকেত হিসেবে ব্যবহার করে। আজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ৬টি স্থান থেকে একযোগে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। রাজাকার এবং পাকিস্তানপন্থী পুলিশরা তখন নিরাপত্তার জন্য জেলখানায় আশ্রয় নিয়েছিল। কোনো প্রতি উত্তর না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দ্বিতীয় দফা গুলি করে জেলখানার দিকে অগ্রসর হয়। জেলখানায় অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করিয়ে তারা তৎকালীন এসডিও আনোয়ার হোসেনের বাসায় যান। এরপর ট্রেজারির সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এসজি

Header Ad
Header Ad

শুধু মা ও সন্তানদের নিয়েও একটি নিখুঁত পরিবার হয় : পরীমণি

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। মডেলিং থেকে ছোটপর্দায় এবং তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। এরপর পরী অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ধীরে ধীরে দর্শকদের মনেও জায়গা করে নেন। তবে কাজের বাইরে সন্তানদের নিয়েই সময় কাটে নায়িকার। নায়ক শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানকে নিয়ে সিংগেল মাদারের দায়িত্ব পালন করছেন পরীমণি।

এখন ছেলে পূণ্য ও দত্তক নেওয়া কন্যা প্রিয়মকে নিয়েই কাটে পরীর সংসার। তাই তো নতুন বছরের আগমনে দুই সন্তানকে নিয়েই নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনে মত্ত হয়েছিলেন নায়িকা। কোলে দুইপাশে দুই সন্তানকে নিয়ে পরীমণির নজরকাড়া এই আয়োজন দেখে মুগ্ধ তার ভক্তরা! তবে পরী জানালেন, একটি নিখুঁত পরিবার নাকি শুধু মা সন্তানেই যথেষ্ট!

রোববার সামাজিক মাধ্যমে নতুন বছরের সেই আয়োজনের বেশ কয়েকটি ছবি ভাগ করে নেন পরীমণি। তাতে দেখা যায়, পূণ্য ও প্রিয়মকে বাহুডোরে আগলে রেখেছেন পরী। সঙ্গে তাদের পোষ্যও ছিল। সেখানে পরীকে তার দুই সন্তান ও পোষ্য'র সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা যায়।

 

ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের ছোট্ট এই ঘরোয়া আয়োজনের সজ্জায় সৌন্দর্যের কমতি ছিল না। বিভিন্ন সাদা, কালো, গোল্ডেন বেলুনে সেজে ওঠে '২০২৫' এর ব্যাকগ্রাউন্ড। সামনে রাখা একটি সেলিব্রেশন কেক! সেই কেকটি পরীমণির হাতে হাতে কাটলেন ছেলে পূণ্য। অবশ্য ছোট্ট প্রিয়মও এক কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সেই কাঁটার দিকে। সঙ্গে পোষ্য কুকুর ছানাকেও কেক খাইয়ে দিতে দেখা যায় পূণ্যকে। আর সে মুহূর্তটি খুব আনন্দের সঙ্গেই উপভোগ করতে দেখা যায় পরীমণিকে।

ফেসবুকে শেয়ার কড়া সেই ছবির পোস্টের ক্যাপশনে পরী লেখেন, ‘কখনো কখনো শুধু মা ও সন্তানদের নিয়েও একটি নিখুঁত পরিবার হয়।’

নেটিজেনরা পরীমণির এমন মুহূর্ত দেখে মুগ্ধ হন। ভালোবাসা ও প্রশংসার সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানান তারা।

উল্লেখ্য, নায়িকা পরীমণি অনেক আলোচিত হলেও কর্মজীবনে তিনি নিজস্ব সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন। বর্তমানে ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এর মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। তবে অভিনয়ে ব্যস্ততা কমে গেলেও মডেলিংয়েও ব্যস্ত থাকেন নায়িকা; এখনও সুযোগ পেলে অংশ নেন।

Header Ad
Header Ad

প্রশ্নফাঁস কান্ডের সেই আবেদের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকা লেনদেন

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, তার স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী ও ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নামে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৫ জানুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আলোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৯৭১ টাকা জমা ও ২০ কোটি ৪১ লাখ ৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মোট ৪১ কোটি ২৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ৩ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রয়েছে।

এছাড়া তার স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নামেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার ২টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৬ টাকা জমা ও ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে আবেদ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুস’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিপিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেই সময় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি থেকে আবেদ আলীক বরখাস্ত করা হয়েছিল। নন-ক্যাডারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদের লিখিত পরীক্ষা ২০১৪ সালে ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। তখন এক পরীক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের অবৈধ উত্তরসহ চারটি লিখিত উত্তরপত্র হাতেনাতে আটক করা হয়। ওই মামলার তদন্তে সৈয়দ আবেদ আলীর সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য প্রমাণ মেলে। এরপর তাকে বরখাস্ত করা হয়।

এক সময় কুলির কাজ করা আবেদ আলী গাড়ি চালানো শিখে চাকরি নেন পিএসসিতে। এরপর প্রশ্ন ফাঁস চক্রে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিজ এলাকায় শিল্পপতি হয়ে যান। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত অভিযোগে আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ জুলাই রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে তারা গ্রেপ্তার হন। একই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় পিএসসির দুজন উপ-পরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ আরও ১৫ জনকে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘কওমি মাতা’ আখ্যা দিয়ে তসলিমার সমালোচনা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি শেখ হাসিনাকে ‘কওমি মাতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার প্রসার ঘটিয়েছেন। তসলিমার মতে, তার এই নীতিই তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার প্রধান কারণ।

তসলিমা অভিযোগ করেন, শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো আদর্শ শেখ হাসিনা অনুসরণ করেননি। শেখ মুজিব যে চার মূলনীতির ওপর দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, তা শেখ হাসিনা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করে সেগুলোকে ধর্মান্ধতার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে তসলিমা উল্লেখ করেন, তার ধর্মান্ধ নীতির কারণেই আজ তার সমর্থকরা শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে। এর ফলে মানবাধিকার ও নারীর অধিকারের মতো বিষয়গুলো বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সম্পত্তি নিয়ে ব্যক্তিগত অভিযোগও করেন তসলিমা। তিনি দাবি করেন, পৈতৃক সম্পত্তি বুঝে পেতে বাধা সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। দেশে প্রবেশ করতে না পারায় তিনি তার বোনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দূতাবাস শেখ হাসিনার নির্দেশে সেই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সত্যায়িত করেনি, যা তাকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

তসলিমার এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তবে অনেকেই তার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শুধু মা ও সন্তানদের নিয়েও একটি নিখুঁত পরিবার হয় : পরীমণি
প্রশ্নফাঁস কান্ডের সেই আবেদের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকা লেনদেন
শেখ হাসিনাকে ‘কওমি মাতা’ আখ্যা দিয়ে তসলিমার সমালোচনা
গুচ্ছ পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ সাত দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি এস এ খালেক আর নেই
ভারতে সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৩
বিএনপির নামে চাঁদাবাজি করলেই আইনি ব্যবস্থা: এডভোকেট আহমেদ আযম খান
৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়া বাতিল
এবার শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ‘ফ্ল্যাট বিতর্কে’
এবার প্রেমের টানে নাটোরে এলেন মালয়েশিয়ার নারী
ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা বাইডেন প্রশাসনের
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক
বিসিবি সভাপতির দুর্ব্যবহার, বোর্ড ছাড়ার ইঙ্গিত ফাহিমের
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সাড়ে ১৬ বছরেই আবেদনের সুযোগ  
দেশের সম্মান ও গৌরব অটুট রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁয় শহীদ ওয়াসিম আকরাম ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পৌর ছাত্রদল
তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি
যমুনা রেলসেতু দিয়ে ট্রেন ছুটলো ১২০ কি.মি গতিতে
৭২ এর সংবিধানকে নতুন করে ঠিক করার কিছু নেই: ড. কামাল হোসেন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামী সেপ্টেম্বরে