কিশোরগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী ছড়া উৎসব শুরু
‘সংকটে সংগ্রামে ছড়া হোক বাধাহীন মুক্তধারা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কিশোরগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী ১৯তম ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই উৎসবের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। এসময় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ও নানান রঙের সাজে নেচে-গেয়ে র্যালিতে অংশ নেন উৎসবে যোগ দিতে আসা দেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারতের ছড়াকার-কবি ও সাহিত্যিক, ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে ৩ দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।
প্রতিবছর মার্চের প্রথম সপ্তাহে এ ছড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে আমন্ত্রিত ছড়াকার, কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক গুণীজনের আগমনকে কেন্দ্র করে ১৯তম এ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা বাংলাদেশ ও ভারতের কবিসাহিত্যিক ও লেখকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন ‘জেগে উঠো নরসুন্দা’র সহযোগিতায় তিন দিনের অনুষ্ঠানমালায় আলোচনা সভা, স্থানীয় ছড়াকার ও কবিদের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আমন্ত্রিত ছড়াকার, কবি ও সাহিত্যিকদের স্বরচিত লেখা পাঠ, বাউল গানের আসর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, সম্মাননা প্রদান, বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান ছাড়াও থাকছে নানা আয়োজন।
ছড়া উৎসবের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ বলেন, গত ১৮ বছরের মতো এবছরও ছড়া উৎসবের আয়োজন করেছি। ছড়া ও সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই আজকের প্রজন্ম ছড়াকে উপজীব্য করে জেলায় প্রতিবছর আমরা বর্ণাঢ্য ছড়া উৎসবের আয়োজন করে আসছি। নতুন প্রজন্মের জন্য এই আয়োজন মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করি। লেখকদের মাধ্যমে আগামী দিন একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই ছড়া উৎসবের আয়োজন।
এসজি