সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘কখনো ভাবিনি ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পাব’

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলিপুর গ্রামের মিলন হাওলাদারের মেয়ে সুরাইয়া (২০)। তার বাবা একজন কৃষক। কিন্তু পরিবারের বড় সন্তান তিনি। মা আর ছোট দুই ভাই-বোনকে তার অভাব বুঝতে দেননি। এরই মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে মাদারীপুর সুফিয়া সরকারি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হন সুরাইয়া। তার মধ্যে খবর পেলেন পুলিশের কনস্টেবল পদে লোক নেওয়া হবে। তার তিন বান্ধবী আর বাবা-মায়ের কাছ থেকে ১২০ টাকা নিয়ে খরচ করে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কয়েক দিন পর ডাক পড়ে তার। শারীরিক ফিটনেস, নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা। সবশেষে কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা ছাড়াই চাকরি!

শুধু এমন একজন সুরাইয়াই নয়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশের কনস্টেবল পদে আবেদন করে দরিদ্র অসহায় এমন আরো অনেক পরিবারের তরুণ-তরুণী। তারাও পুলিশে চাকরির সুযোগ পেলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি দিলীপ মন্ডলের মেয়ে দিপানীসা মন্ডল ও হরিদাসপুর গ্রামের রিকশা ভ্যানচালক জামাল হোসেনের ছেলে শাওন হোসেনসহ অনেকে। এদের কারোর বাবা নেই, আবার কারোর বাবা দিনমজুর বা রিকশা ভ্যানচালক কিংবা রাজমিস্ত্রি। কোনো ধরনের তদবির এবং অনৈতিক চাপ ছাড়াই পুলিশ কনস্টেবল পদে এমন চাকরি।

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৩৮ জন ছেলে ও ৭ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিতদের নাম ঘোষণার সময় জেলা পুলিশ লাইন মাঠে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাদের সবাই।

কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া মোহাম্মদ সাকিলুর রহমান বলেন, শুনেছি সরকারি চাকরির জন্য অনেক টাকা-পয়সা লাগে। অনলাইনে ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছিলাম। ১২০ টাকার বেশি লাগেনি। আমি কখনো ভাবি নাই ১২০ টাকায় চাকরি পাব আল্লাহ আমারে যোগায় দিছে।

আরেক চাকরি পাওয়া মশিউর রহমানের মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রিকশা চালায়। দিন আনতে দিন খাইতে কষ্ট হয়। সরকারি চাকরি হইবো পুলিশের আমি কখনো ভাবি নাই। আমি আমার দেওরের ছেলের কাছ থেকে ১২০ টাকা এনে দিলে ছেলে আবেদন করেন। পরে ১২০ টাকায় চাকরি পাইছে আল্লাহর রহমতে। আমরা জানতাম পুলিশে চাকরি নিতে হলে অনেক টাকা লাগে আজকে ১২০ টাকাই আমার ছেলে চাকরি পাইছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

নাইমারের বাবা সোহরাব মোল্লা বলেন, আল্লাহ আমাকে মুখের দিকে তাকাইছে। আমরা গরিব মানুষ কখনো ভাবি নাই আমার মেয়ে চাকরি পাইবো।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কাউকে কোনো অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। মেধাবী এবং শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের আমরা চাকরি দিয়েছি। আশা করি, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা পুলিশ বিভাগ ও দেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে।

উল্লেখ্য, এবারের ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মাদারীপুর জেলার ৪৫টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৪৮০ জনের অধিক তরুণ-তরুণী অনলাইনে আবেদন করেছেন। পরে যাচাই-বাছাই করার পরে ৮৭৬ জন টিকে। এর মধ্যে ২৯৩ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন মাত্র ১২৪ জন। এদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৫৪ জনকে চূড়ান্তভাবে ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

এসআইএইচ 

Header Ad
Header Ad

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দলটির আরেক যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ মার্চ জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট আগামী ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং আপনাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন নির্দেশ প্রদান করেছেন।

একইসঙ্গে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আপনাকে দলের সব ধরনের দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

Header Ad
Header Ad

দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দুই বাংলাদেশি কৃষক ভারতে প্রবেশের পর স্থানীয়দের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ঘটনাটি ঘটে রোববার সকালে, ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই এলাকায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতেই স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দুই বাংলাদেশি কৃষককে বেধড়ক মারধর করছে। এমনকি তাদের একটি পিকআপ ভ্যানে তোলার সময়ও নির্যাতন অব্যাহত থাকে।

নির্যাতনের শিকার কৃষকরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও জামাল মিয়া (৫৪)। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দাবি করেছে, তারা মেইন পিলার ১৯৮৭ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, যেটি ৭৮পি/৮ নম্বর মানচিত্রের আওতায় পড়ে।

ঘটনার পর পরই রোববার বিকেলে সীমান্তবর্তী হরিণখোলা ফাঁড়িতে বিএসএফ এবং বাংলাদেশের ৫৫ বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তোফাজ্জল ও জামালকে বাংলাদেশি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজিল আহমেদ জানিয়েছেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে।

এদিকে, মাধবপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মুরাদ হোসেন (১৭) অপহরণের শিকার হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ফুলপুকুরিয়া পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় মুরাদকে অপহরণ করা হয়। মুরাদ হোসেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

মুরাদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে কাইয়াগঞ্জ এলাকার রেজোয়ান প্রধানের ছেলে আপন (২০) ও একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে ছানোয়ার হোসেনকে (১৮) স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শরৎ চন্দ্র রায় জানান, আটক দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের কাটামোড় এলাকা থেকে মুরাদ হোসেনকে উদ্ধার করা হয়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে শেখ হাসিনার সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান