রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রোজার আগেই জয়পুরহাটে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী

আসন্ন রমজান শুরুর আগেই জয়পুরহাটে নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগে গেছে। চাল, ডাল, তেল, মাছ, গরুর মাংস, সবজিসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা বাধ্য হয়েই গরুর মাংসের বদলে একটু কম দরে খাসির মাথা, মুরগির বদলে বয়লারের খুচরো মাংস, ছাগল-ভেড়ার পা, মুরগির হাড়-গলা-গিলা-কলিজির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সবজির মৌসুমে সংসারের চাহিদা অনুযায়ী তরকারি ক্রয়ের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছেন অনেক ভোক্তা। অথচ আমদানিকারক, মিলার, আড়তদার, মজুতদার, ফড়িয়া মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিটি খাদ্য পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় বিপর্যস্ত নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন। অথচ সরকারের দায়িত্বশীলদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পণ্য মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।

জয়পুরহাট শহরের পূর্ব বাজার, বউ বাজার, নতুনহাট ও মাছুয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও সব পণ্যের দাম মূল্য তালিকায় লেখা নাই। কেউ কেউ মূল্য তালিকা খুলে রেখেছেন। এ ছাড়াও মূল্য তালিকায় পণ্যের দামের ব্যবধান রয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত খাদ্য শস্য উৎপাদন হওয়ার পরও সিণ্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছে।

আজকের বাজার মূল্য অনুযায়ী,প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, সীম ২০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, খিরা শশা ২০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, বড় মাপের মিষ্টি লাউ ১৫০ টাকা, রঙিন বাঁধাকপি প্রতিটা ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটা ২৫ টাকা, ব্রকলি প্রতিটা ৫০টাকা, করলা ১৬০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৩০ টাকা, লাউ প্রতিটা ৬০-৮০ টাকা। টমেটোর পাইকারি দাম প্রতি কেজি ২০ টাকা, তবে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আলুর পাইকারি দাম প্রতি কেজি ১৭ টাকা,তবে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ২৩০, সোনালী ৩০০ টাকা, লেয়ার ৩১০, দেশি মুরগী ৫০০ টাকা এবং গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও কেজি প্রতি খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা , বোতল সয়াবিন ১৮৫ টাকা, সরিষার তেল ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়াও চিনি ১১০ টাকা, আটা ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ১৩০ টাকা ও ছোলা বুট ৮৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গুড়া মশলা ও গরম মশলার দামও যে যেভাবে পারছে ক্রেতাদের কাছে ইচ্ছা অনুযায়ী বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

মাছুয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, 'পণ্যের মূল্য তালিকা আছে কিন্তু সবাই নামিয়ে রাখে এ জন্য আমিও নামিয়ে রাখছি। মূল্য তালিকায় লেখা তো দূরের কথা অনেক দোকানে তালিকাই নাই। আমরা নির্দেশ মানলেও অনেক ব্যবসায়ীরা তা মানে না। যারা মূল্য তালিকার নির্দেশ মানেননি তাদের বিষয়টি কেউ দেখতেও আসেন না। আমরা পাইকারদের কাছ থেকে কিনে এনে খুচরা বিক্রি করি। আমাদের পণ্যের দাম পাইকারি ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করে দেয়। আমরা বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করি না।'

জয়পুরহাট সদরের বৈরাগী মোড় থেকে আসা ক্রেতা রাব্বি ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এত ছিল না। এখন প্রতিটা দিন অতিবাহিত হচ্ছে আর পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। বেশি দামের সবজি কেনার আগে সংসারের বাকী খরচের কথা মাথায় রাখতে হয়। বর্তমানে প্রতিটি পণ্যের মূল্য বেড়েছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়মিত মনিটরিং করলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকত। সামনে রোজা আসছে তখন পণ্যের মূল্য আরও বেড়ে যাবে। রোজায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, এটা স্বাভাবিক। প্রত্যকবার রোজায় সবকিছু বেশি দামে কিনতে হয়।

কাঁচারি বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা সামিউল বাবু বলেন, মধ্যবিত্তদের জন্য কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যটা একটু বেশিই। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি রাখে। বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগে ক্রেতাদের পকেট কাটছে নিয়মিত।

কাঁচারি বাজারে বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা রিকশাচালক স্বপন শেখ জানান, ‘প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করি। আবার হঠাৎ কোনো দিন শরীর অসুস্থ হলে রিকশা নিয়ে বের হতে পারি না। মাত্র কয়েক শত টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে চাল, তেল, আলু ও হালকা কিছু সবজির বাজার করলেই টাকা শেষ হয়ে যায়। গরুর মাংস তো দূরের কথা ব্রয়লার মুরগী কিনতে পারি না। এখনও রমজান আসেনি আমি সংসার নিয়ে চলব কি ভাবে?’

এ বিষয়ে জেলা কৃষিবিদ ওবায়দুল্লাহ মুসা বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছে ও বাজারকে অস্থিতিশীল করছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এক মাস পর মুসলমানদের পবিত্র রমজান শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, রমজান উপলক্ষে এখন থেকেই বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

এ ব্যাপারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক ইফতেখার আলম বলেন, সরকারি মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি বিক্রির নিয়ম নেই। প্রতি মাসে তিন দিন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তাদের কাছে যে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও