গাইবান্ধার ইজতেমার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা। গাইবান্ধা জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারের কাটা নামক স্থানে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইজতেমা সুষ্ঠ ও নিরাপদ সহ সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য আজ বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন পরির্দশন করেন।
এছাড়াও গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, পৌর সভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, ওয়াকার্সপাটির সভাপতি এম এ মোতিন মোল্লা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের খোঁজ খবর নেন।
ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির জিম্মাদার মাওলানা মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান ১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৮ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য পৃথক, পৃথক ভাবে অবস্থানের যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই তিনদিন তারা সাচ্ছন্দে রান্না ও থাকতে পারবেন।
ইজতেমায় আগতদের জন্য রয়েছে টযলেট, অজুখানাসহ নামাজের জন্য স্থান নিদ্ধারিত রয়েছে। তিনি বলেন কমপক্ষে ১০ লক্ষাধিক মুসল্লির এতে অংশ নিবেন বলে আশা করছেন। সাঘাটা থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন আয়োজক কমিটির আয়োজন অত্যন্ত সুন্দর।পরকালের নাজাতের আশায় সৃষ্টির কর্তার সন্তষ্টির জন্য ইজতেমায় এসেছি।
জেলা ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন ইজতেমায় আগত সকল মুসল্লির নিরাপত্তার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ জন্য বুধবার থেকেই ইজতেমার ময়দানে পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা সহ অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে। আখেরী মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।
এএজেড
