সময় শেষেও রয়ে গেছে সাইনবোর্ড ও ভরাটকৃত বালু!
ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের ভলিউম ও রেকর্ডে খতিয়ান না থাকায় এবং জোরপূর্বক কৃষকদের ফসলী জমি দখলের অভিযোগে আবাসন প্রকল্প আকশির নগরের সকল প্রকার ব্যানার/সাইনবোর্ড ও ভরাটকৃত বালু সড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলো উপজেলা প্রশাসন। গত ১৯ জানুয়ারি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী স্বাক্ষরীত একটি নোটিশের মাধ্যমে ৭ (সাত) দিনের সময় দিয়ে ওই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।
গত ২৫ জানুয়ারি 'আকশির নগর' কে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া নির্ধারিত সময় শেষ হয়। পরে গত ২৬ জানুয়ারি আকশির নগর আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলামের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আকশির নগরকে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি আকশির নগরকে দেওয়া সময় শেষ হলেও ব্যানার/সাইনবোর্ড ও ভরাটকৃত বালু অপসারণ করেনি আকশির নগর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, জোরপূর্বক কৃষকদের ফসলী জমি দখল করে ভরাটকৃত বালু এবং ব্যানার/সাইনবোর্ড অপসারণ করেনি আকশির নগর কর্তৃপক্ষ। ফলে ভুক্তভোগী কৃষকরা নিজেদের কৃষিজমি হাড়িয়ে বিপাকে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক মনসুর আহমেদ ঢাকা প্রকাশকে বলেন, ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপের পরে আমাদের ভিতর আশার সঞ্চার হয়েছিল। ভেবেছিলাম আমার শেষ সম্বল কৃষিজমিটুকুতে দখলে যেতে পারবো। কিন্তু ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপের পরেও জোর করে অবৈধভাবে দখল করা আমার কৃষিজমি থেকে বালু সড়ায়নি তারা (অকশির নগর)।
আমার পৈত্রিক সম্পত্তি, জমির সকল কাগজ পত্র সব আছে। আমি তাদের কাছে বিক্রি করিনি, তারপরও ভূমিদস্যুরা জোর করে আমার জমি দখল করে আছে। আমার মত কুল্লা ইউনিয়নের ৭ গ্রামের কয়েকশত কৃষকের জমি অবৈধভাবে দখল করে তারা ভূমিদস্যু অকশির নগরের কর্মকর্তরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, কৃষকদের যেসব জমি জোরপূর্বক দখল করে বালু ফেলেছে আকশির নগরের লোকজন, তা আমরা চিন্হিত করেছি। আমরা অতিদ্রুত এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এএজেড