ঠাকুরগাঁও উপনির্বাচন: ঝুঁকিপূর্ণ ৭২ কেন্দ্র

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে উপনির্বাচন বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)। ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে ভোটগ্রহণ। পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৭২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ৭২ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র অতিরিক্ত নজরদারিতে থাকবে বলে জানিয়েছেন উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম মাহাতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আজ প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭ প্লাটুন বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবে।’ উৎসবমুখর ভোট উপহার দেওয়ার জন্য তিনি সব ভোটারকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ দলের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ইয়াসিন আলী হাতুড়ি প্রতীকে, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ লাঙল প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় একতারা প্রতীকে, জাকের পার্টির এমদাদুল হক গোলাপ ফুল প্রতীকে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাফি আল আসাদ আম প্রতীকে এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম টেলিভিশন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটারদের মতামত ও শেষ পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচারণা বিবেচনায় জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় এবং ১৪ দলের প্রার্থী ইয়াসিন আলীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে উপজলা প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রের মালামাল বুঝে নিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন।
এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১২৮টি। বুথ ৮৩৩টি।
এসজি
