হিলিতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা

দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েকদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। সার-কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়া এমন থাকলে চারার সংকট দেখা দিতে পারে বলছেন কৃষকরা। তবে বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা ভালো হওয়ায় সমস্যা কেটে যাবে দাবি কৃষি বিভাগের।
হিলিতে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরদিন দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা ঝড়ছে। এতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের তেমন দেখা মিলছে না আবার কখনো মিললেও সেই রোদের তীব্রতা তেমন নেই। সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হতে শুরু করেছে বোরো ধানের বীজতলা। অধিকাংশ বীজতলার বীজগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণের হয়ে বীজগুলো মরে যাচ্ছে।
হিলির আলিহাট গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
হিলির বোয়ালদাড় গ্রামের কৃষক আলতাফ শেখ বলেন,আমি প্রায় চার বিঘা জমির জন্য পরপর দুইবার বীজতলা প্রস্তুত করেছি কিন্তু ঘন কুয়াশার জন্য দুইবার বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমি ইরি-বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
হিলির ইসমাইলপুর গ্রামের কৃষক নবীর উদ্দীন বলেন,কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা ফেলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করার পরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। একই সঙ্গে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে কিছু বীজতলায় লালচে ভাব এসেছিল। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ায় এই থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলার কৃষি অফিসার ড.মমতাজ সুলতানা বলেন, ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত শীতের কারণে কিছু কিছু বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। নতুন করে পানি দেওয়া ও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়াসহ কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রার ৩৩৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে।
এসআইএইচ
