রাজশাহীর মাদ্রাসামাঠে কঠোর নিরাপত্তা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন রাজশাহীতে। রবিবারের (২৯ জানুয়ারি) এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের জনসভাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শেষ দিকে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ। শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া মাঠে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মাদ্রাসা মাঠের বাইরে থেকে দেখা যায়, মাদ্রাসা মাঠে সাধারণের প্রবেশের জন্য তিনটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটগুলোতে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। যেই ব্যারিকেডের ফাঁক দিয়ে একজন করে ব্যক্তি মাঠে প্রবেশ করতে পারবে। একটি লাইনে একসঙ্গে একের অধিক ব্যক্তি প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া অপর আরেকটি গেট রয়েছে, যেটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবেশ করবেন। সেই গেট রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে গত কয়েকদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া মাদ্রাসামাঠে প্রবেশের সব গেটেই পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। মাদ্রাসামাঠের দেয়ালের উপরে উঁচু করে সাদা পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এতে বাইরে থেকে জনসভা মঞ্চ দেখার কোনো সুযোগ থাকছে না।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব পর্যায়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে জনসভার স্থানসহ নগরী ও যে রুটে প্রধানমন্ত্রী আসবেন সেখানে গোয়েন্দা তৎপরতা আছে। এ ছাড়া জনসভার দিন মাঠে ১০ পেট্রোল র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। ৩টি রিজার্ভ টহল থাকবে। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর অপ্রীতিকর কোনো কিছুর শঙ্কা এখন পর্যন্ত নেই। আর এ বিষয়ে র্যাব তৎপর রয়েছে।
আরএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, নগরীজুড়েই কয়েকদিন আগে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর বাইরেও ঢাকা হেড কোয়ার্টারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই পুলিশ কাজ করছে।
এসএন