ভৈরবে নিহতের ঘটনায় বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট অব্যাহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধুনগর গ্রামে কালা মিয়া (৫৫) নামে ১ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের প্রায় ২৫টি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার ৩ দিনেও থানায় কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছে না থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী ও স্থানিয়রা বলেন, গত সোমবার সকালে শ্রীনগর ইউনিয়নের বুধুনগর গ্রামে আলফাজ পক্ষের লোকজন কালা মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাৎ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন। গ্রেপ্তার আতংকে আলফাজ পক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ায় নিগতের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের প্রায় ২৫টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট ও গরু ছাগল হাস মুরগিও নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আলফাজ পক্ষের অভিযোগ। বর্তমানে এলাকাটিতে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহতের ভাই জানায়, রবিবার রাতে কালা মিয়ার ছেলে জসিম মিয়াকে আলফাজ পক্লে লোকজন মারধর করে তাকে আটকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে এলাকার একটি মসজিদের ইমাম কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে জসিমকে ছাড়িয়ে আনেন। পরদিন সোমবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে কালা মিয়াকে ধারালেঅ অস্ত্র দিয়ে আঘাৎ করে ফেলে রেখে যায়। পরে মুমুষ অবস্থায় কালা মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আলফাজ পক্ষের কয়েকজন বলেন, কালা মিয়াকে মারার সময় আমরা তখন বাড়িতে ছিলাম না। নিহত কালা মিয়া পক্ষের লোকজন আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নগত টাকা, স্বর্ণ অলংকার, গরু বাছুর, হাস মুরগি ও মূলবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের কি অপরাধ ছিল। তাদের ভয়ে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছিনা। এই শীতে আমরা আমাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছি। এভাবে কত দিন থাকতে পারব। সবারইতো পরিবার পরিজন আছে।
অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, শ্রীনগরের বুধুনগর গ্রামে পূব শত্রুতার জেরে ধরে কালা মিয়া নামে একজন নিহত হলেও এখনো পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন মারফতে জানতে পারি নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন একটা পক্ষ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে। এধরনের ঘটনা রোধ করতে ঐ এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
এএজেড