'বগুড়ার উপনির্বাচনে থাকছে না সিসিটিভি'
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় শূন্য হওয়া ৬টি আসনে উপনির্বাচনে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে না। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ায় দুটি আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা খুব এক্সপেনসিভ (ব্যয়বহুল)। ছয়টি আসনে উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরা দিয়ে করার বাজেট আমাদের নেই।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম), বগুড়া-৬ (সদর), ঠাকুরগাঁও-৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুটি আসনে উপ-নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় রাশেদা সুলতানা কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যদি আপনারা কোনো সমস্যাবোধ করেন তাহলে আমরা সেটি দেখব। কিন্তু যদি আপনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তার দায়ভার আপনাদেরকেই নিতে হবে। মনে রাখবেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই যেটি শুধু আমাদের দেশেই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও যেন রোল মডেলে পরিণত হয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা নির্বাচনে কমিশনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অনেক ধরনের কথা শুনে আসছিলাম। নির্বাচন এভাবে হয়, ওভাবে হয়। ভোটাররা ভোট দিতে পারেন না। তাদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। ইভিএমে ভোট অন্যরা দিয়েছে-এ ধরনের অনেক কথা আমাদের কাছে আসছিল। আমরা আসলে ওটাই দেখতে চেয়েছিলাম। এ ধরনের ঘটনা ভোট কেন্দ্রে ঘটে কি না। তো এইগুলো কিন্তু আমরা দেখে ফেলছি।
নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভি আইনে ম্যান্ডেটরি (আবশ্যক) না। এই সিসি ক্যামেরা দিয়ে সব ইলেকশন করব, করতেই হবে-সেটা না। সাধারণ যে আইন, যে প্রসিডিউর সেটার মধ্যে আমাদেরকে আসতে হবে। একটা দেশে সব নির্বাচন সিসি ক্যামেরা দিয়ে করাও দুরূহ ব্যাপার।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কক্ষে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর, জাকের পার্টির শফিক বিন ফয়সাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ, বগুড়া-৪ আসনের জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল।
এএজেড