সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চলতি বছরই রেলযোগে কক্সবাজার যাবে পর্যটক

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে নির্মিতব্য দেশের প্রথম আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন মূল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। মুক্তাসহ ঝিনুকের আকৃতিতে ছয় তলা এই ভবনের নির্মাণ শেষ হওয়ার পর এখন অন্যান্য প্রস্তুতি চলছে। ভবনের চারিদিকে গ্লাস, ছাদের ওপর স্টিলের ক্যানোফি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ফায়ার ফাইটিং, স্যানিটারি আর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বসালেই ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে সমুদ্রনগরের প্রথম এই রেলওয়ে স্টেশন। বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে চলছে এই স্টেশনের কাজ।

২০২৪ সালে সমাপ্ত হবার সিডিউল নিয়ে দ্রুত এগুচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প। তবে, স্বপ্নের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ সমাপ্ত হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না পর্যটন নগরবাসীকে। চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবরে পর্যটক নিয়ে দরিয়ানগরে রেল আসার প্রত্যয়ে দ্রুত এগুচ্ছে চলমান রেল প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, রেল চালু হলে পর্যটক যাতায়াত সহজ হবার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে-কম খরচে কৃষিপণ্য, মাছ, লবণ পরিবহন করা যাবে। এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

তিনি বলেন , উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণে পর্যটন নগরীর সাথে রাজধানীসহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবী বহুদিনের। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দের উন্নিত করার পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের দাবী দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়। গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দেহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিমি রেল পথের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

খোকা আরও বলেন, ২০২৩ সাল শেষ হবার আগেই কক্সবাজারে রেল আসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রকল্প ও রেল মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে রেলে চড়ে সহজে কক্সবাজারে আসবেন পর্যটকসহ সব শ্রেনী পেশার মানুষ। তেমনি সহজ ভাবে দেশের সব প্রান্তে যাবেন কক্সবাজারবাসীও। সহজ হবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আনা নেয়া। এতে বাড়বে কক্সবাজারে পর্যটক স্রোত। পর্যবেক্ষদের মতে, রেলপথ সচল হলে সবদিক দিয়ে ঘুরে যাবে কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকা।

সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে রেল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবরের শেষ নাগাদ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারাদেশ থেকে মানুষ ট্রেনে চড়ে সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।

রেলপথ মন্ত্রী কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনের নির্মাণ কাজ দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আরও বলেন, একসময় কক্সবাজারে রেল আসবে এটি স্বপ্ন ছিল, এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। সারাদেশের মানুষ ট্রেনে পর্যটন নগরী কক্সবাজার যাওয়ার অপেক্ষায়।

রেলমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের জন্য টুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচ দিয়ে ট্রেন চালানো হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে।

এ সময় কক্সবাজার সদর-রামুর সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল বলেন, ২০১১ সালে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেল পথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের সম্মতি না থাকায় আপাতত রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হচ্ছে না।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০০ কিলোমিটার রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদরসহ স্টেশন থাকছে আটটি। এ জন্য সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি বড় সেতু। এ ছাড়াও রেলপথে তৈরি হয়েছে ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে একটি ফ্লাইওভার, রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং। হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর চলাচলে ৫০ মিটারের একটি ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন আইকনিক ভবন ঘেঁষে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে।

এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা যাওয়া করতে পারবেন।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের ইতোমধ্যে ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। বেশির ভাগ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আগামী কয়েক মাসেই শেষ হবে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে, আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের জুন-অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। একই সাথে রেলস্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান আছে।

প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জি.এম আলমগীর বলেন, এটি কক্সবাজারবাসীর মতো আমাদের কাছেও স্বপ্নের প্রকল্প। নদী-নালা-খাল বিল, পাহাড় ঘেঁষে হচ্ছে এ প্রকল্পের কাজ। ২০২৪ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও আমরা চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দুই ভাগে কাজ করছে। নিখুঁতভাবে দ্রুত কাজ করছি আমরা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। এরপরও কাজ চলছে। একইভাবে সাগরপথে জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় অন্য দেশ থেকে মালামাল আনতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিত্তি প্রস্তরের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডোয়েল গেজ ও সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এখন থেকে সৌদিতে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই নিয়ম গত ১৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করবে এবং সৌদি আরব ত্যাগের সময় পরিশোধিত ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সৌদির পর্যটন খাত আরও চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, কর ফেরতের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের পক্ষে কর ফেরতের আবেদন এবং তা কার্যকর করবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন বা অনিয়ম হলে, পর্যটক ও সেবাদাতা—উভয়ই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবেন।

জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোর পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা চলমান থাকবে যতদিন না পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর হয়। জেডএটিসিএ’র গভর্নর এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।

নিয়মাবলির মধ্যে থাকবে—পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্ত, কোন পণ্য এই সুবিধার আওতায় আসবে, ন্যূনতম ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতারা সুবিধা দিতে পারবেন এবং কর ফেরতের আবেদন পদ্ধতি।

অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএ-কে তা জানাতে হবে। তবে পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, আগের মালিক পুরনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাবেন না এবং তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

Header Ad
Header Ad

আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) কাতারে যাচ্ছেন। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিতব্য ‘আর্থনা সামিট-২০২৫’-এ অংশ নিতে তিনি এ সফরে যাচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, এই সফরটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির আমন্ত্রণে হচ্ছে। সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারের আমিরের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সফরে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এছাড়া দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদও প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন। তারা হলেন—ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং ক্রিকেটার সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।

‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’ প্রতিপাদ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সামিটে, কাতারের শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ায় টেকসই উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং দেশটির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও প্রতিবেশগত বৈচিত্র্যকে কাজে লাগানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

২২ ও ২৩ এপ্রিল এই দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে উপস্থাপনা, ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা এবং গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করা হবে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার