টাকা নিয়েও মৃত্যুর সনদ দিতে গড়িমসি!
বরগুনার বামনায় সরকারি নিয়মানুযায়ী অবেদন করার পরও স্বজনদের থেকে অতিরিক্ত টাকা-পয়সা নিয়েও মৃত্যুর সনদ প্রদানে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে বামনার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মনিরুল হক।
আইনজীবী মনিরুল হক জানান, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার চাচী পিয়ারা বেগম মারা যান। পরে পারিবারিক প্রয়োজনে চাচী পিয়ারা বেগমের মৃত্যুর সনদ প্রয়োজন হওয়ায় ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৪ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনের অনুলিপি পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘদিন ঘুরেও চাচীর মৃত্যুর সনদ না পেয়ে তিনি আবারও এই বছরের ২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
মনিরুল হক বলেন, 'চাচীর মৃত্যুর সনদ চেয়ে আবেদন করে এক বছরের বেশী সময় অতিক্রম হলেও মৃত্যু সনদ আজও পাইনি। ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সনদ চাইলে তিনি আজ কাল বলে ঘুরাতে থাকেন।'
তিনি আরও বলেন, 'এ নিয়ে এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের নিকট আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ দুই হাজার টাকাও দেই। কিছুদিন পর আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করে সচিব জানান দাবি করা টাকা না পেলে চেয়ারম্যান মৃত্যু সনদ দিতে নিষেধ করেছেন।'
এ প্রসঙ্গে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দুলাল চক্রবর্তী বলেন, 'আমি কোনো টাকা নেইনি। দাবিও করিনি।'
এ ব্যাপারে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, 'আবেদন করে মনিরুল হক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করায় বিলম্ব হয়েছে।'
১০ হাজার টাকা দাবির বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, 'টাকা দাবির কোনো প্রশ্নই উঠে না।'
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার জানান, 'এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
এসআইএইচ