চিনিকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও বন্ধ ঘোষণা আখ মাড়াই
নাটোর চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই শুরু হয় ২ ডিসেম্বর। লক্ষ্যমাত্রা ছিল,৫৪ কর্মদিবসে মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হবে। এখনও মাঠে আছে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিকটন আখ। অথচ,আখ সরবরাহ না থাকায় মাত্র ৩৭ দিনের মাথায় বন্ধ ঘোষণা করা হলো আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন। এই সময়ের মধ্যে নাটোর চিনিকলে মাড়াই হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার ৭৩৮ মেট্রিকটন আখ।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, চিনিকলে আখের দামের তুলনায় ক্রাশারে দাম বেশি পাওয়ায়, আখ সরবরাহ করছেন না কৃষকরা। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রায় ৩০ হাজার মেটন আখ মাড়াই বাকি থাকতেই বন্ধ, হয়ে গেলো নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন। শনিবার দুপুরে ওই আখ মাড়াই বন্ধ ঘোষণা করেন নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া জানান,বেশ কয়েকদিন থেকেই মিলে আখ সরবরাহ কমে যায়। ফলে ব্যাহত হতে থাকে চিনি উৎপাদন। বিষয়টি অনুধাবন করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য চাষিদের আখ সরবারহ করতে উদ্বদ্ধু করা হয়। কিন্তু বার বার চেষ্টা করলেও কৃষকরা মিলে আখ সরবারহ করেননি। খোজ নিয়ে জানা যায়, আখ চাষিরা তাদের জমির উৎপাদিত আখ গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, নাটোর চিনিকল থেকে চাষিরা সার, ব্রীজ ও নগদ টাকাসহ ঋণ নিয়ে চুক্তি মোতাবেক মিলে আখ সরবারহের কথা থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ক্রাশার মালিকদের কাছেই আখ বিক্রি করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মিলগেটে প্রতিমণ আখের মূল্য ১৮০ টাকা। সেখানে চাষিরা পাওয়ার ক্রাশার মালিকদের কাছে প্রতিমণ আখ ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি করছেন।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছিল ৬.২০ ভাগ। কয়েকদিন পর উৎপাদিত চিনির হিসাব পাওয়া, যাবে।
এএজেড