শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সরকারী ১১টি আকাশমনি গাছ কেটে নিয়ের অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। যার বর্তমান বাজার মূল্য অর্ধ্য লক্ষ টাকা। অভিযুক্ত মাসুম হোসেন উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি। তার দাবি, ক্রয়কৃত গাছ চুরি হয়ে যাওয়ায় উপজেলা বন কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে তিনি এই গাছগুলো কেটেছেন।
অপরদিকে বন কর্মকর্তা বলছেন তিনি কাউকে গাছ কাটার নির্দেশনা দেননি। গাছ কাটার কথা স্বীকার করে মাসুম হোসেন জানান, দরপত্রের মাধ্যমে ২৬৯ টি টুকরা গাছ ১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেন তিনি। ক্রয়কৃত গাছের প্রায় ৪০ টুকরো চুরি হলে তিনি উপজেলা বন কর্মকর্তাকে জানালে বন কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে পাঁচটি গাছ নাম্বার দিয়ে কাটতে বলেন।
গাছগুলো কেটে সন্ধ্যার সময় নিয়ে আসতে গেলে স্থানীয়রা এতে বাধা দেয় এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান এসে গাছগুলো রেখে সাংবাদিক আসছে বলে গাড়ি ও আমাকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সানু মোল্লা বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে আমি এসে কাউকে পাইনি। রাস্তার পাশে গাছগুলো পরে থাকতে দেখে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে জানাই।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের বেনকি সুইজগেট ওয়াপদা রাস্তার পাশ থেকে দরপত্রের বাইরে অবৈধভাবে অর্ধ লক্ষ টাকা মুল্যের ১১টি আকাশমনি গাছ কেটে নছিমনে উঠিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে হুমকি দেয় মাসুম। সে বলে এলাকায় থাকতে চাইলে চুপ থাকো।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে। চোর শনাক্ত করা গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি প্রতিবেদককে আরও বলেন, আপনারা কিছু লেইখেন না! লিখলে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলার বিভাগীয় বল কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোন বন কর্মকর্তার মৌখিকভাবে গাছ কাটার নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমার অফিসার যদি এতে জড়িত থাকে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড
