হাতকড়াসহ আসামি পালানোর ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

বরগুনার বেতাগীতে হাতকড়াসহ আসামি আসামি পালানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত থানার এসআই শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
এর আগে সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বেতাগী থানার এসআই শহিদুল ইসলামের হাত থেকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়াসহ পালিয়ে যান হাবিব বিশ্বাস (৬০) নামে চুরি মামলার এক আসামি। আসামি পালিয়ে যাওয়ার ৩ ঘণ্টা পর হাতকড়া ও চাবী উদ্ধার হলেও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পরে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত এসআই শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেন বরগুনা জেলা পুলিশ।
বেতাগী থানা পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে স্থানীয় সোনার বাংলা বাজারের একটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। তদন্ত করে হাবিব বিশ্বাসের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পায় পুলিশ। এরপর সোমবার দুপুরে বেতাগী থানার এসআই শহিদুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম হোসনাবাদ এলাকার হাবিব বিশ্বাসের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে থানায় নিয়ে আসার পথে হাবিব হাতকড়াসহ দৌড়ে একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, এসআই শহিদুল হাতকড়া ও চাবীসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামী হারানোর পর এলাকাবাসীর সহায়তায় আসামী ছেড়ে দেয়ার চুক্তিতে হাতকড়া উদ্ধার করেন এবং ওই এলকার স্থানীয়দের বিষয়টি যেনো কেউ না জানে এজন্য এক প্রকার চাপ প্রয়োগ করেন। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এসআই শহিদুল ইসলাম। স্থানীয় মালেক সর্দার বলেন, হাতকড়াসহ আসামি পালানোর পর এসআই আমার কাছে আসে। আমি যেন আসামি খুঁজে দেই।
চুরি হওয়া দোকানের মালিক শুভঙ্কর বেপারি বলেন, শুক্রবার রাতে আমার দোকান চুরি হয়। গতকাল চোরকে ধরার পর পুলিশের হাত থেকে চোর হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। পরে আবার ধরলেও ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এসআই হাতকড়া উদ্ধারের ঘটনা সাজায়। এখন আবার আসামি না ধরে ওই এসআইকে প্রত্যাহার দেখিয়ে আমাদের শান্তনা দেয়া হচ্ছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামি একজন ছিঁচকে চোর। এ ধরের চোরদের কাছে হাতকড়া বা তালা খোলার মতো চাবি বা যন্ত্রপাতি কিছু না কিছু থাকেই। এমনটাই হয়তো ঘটেছে। কারন আসামি পালিয়ে যাওয়ায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর ধানক্ষেত থেকে ওই হাতকড়াটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বরগুনা জেলা পুলিশ কর্তৃক এ ঘটনায় সম্পৃক্ত এসআই শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বরগুনার পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম তারেক রহমান বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ততে সব উঠে আসবে কি হয়েছে না হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড
