নাফনদ থেকে অস্ত্রসহ ছয় রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নাফনদীতে নয় ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। সোমবার রাতের এ অভিযানে মাছ ধরার নৌকা থেকে ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং ছয় রোহিঙ্গা ডাকাতকে আটক করে তারা। মঙ্গলবার বিকেলে কেরুনতলী কার্যালয়ে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মহিউদ্দিন জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আটকরা হলেন- উখিয়া উপজেলার থ্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইব্রাহিম (২৪), একই ক্যাম্পের আরিফ (৩৩), মাহমদুর রহমান (১৮), বালুখালী ক্যাম্পের নবী হোসেন(২৮), হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং ক্যাম্পের আমিন (৩৩) এবং একই ক্যাম্পের কানিজ (২৪)। মহিউদ্দিন জানান, সশস্ত্র ডাকাত দলের ফিশিং বোটে ডাকাতির প্রস্তুতির খবরে কোস্ট গার্ড নাফনদীর মোহনায় অভিযান চালায়।
এ সময় ডাকাত দল বোট নিয়ে নাফনদীর মোহনা হয়ে টেকনাফের দিকে পালিয়ে ঢুকে পড়ে। কোস্টগার্ড ধাওয়া করলে ডাকাত দল রঙ্গিখালী এলাকায় খড়ের দ্বীপে কয়েক সদস্যকে নামিয়ে দ্রুত মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলে যায়।
এ সময় অন্য ডাকাতরা দ্বীপের বনে লুকিয়ে যায়। পরে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের যৌথ দল দ্বীপটি চারদিক থেকে ঘিরে অভিযান চালায়। সেখানে ডাকাত দলের মূল আস্তানা থেকে ছয় জন সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়।
তাদের স্বীকারোক্তি মতে আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি একনলা বন্দুক, দুটি এলজি, একটি শটগান, ছয়টি দেশি পিস্তল, চারটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৪৫০ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩৬ রাউন্ড গুলির খোসা, চারটি রামদা, ২০ হাজার পিস ইয়াবা, ২১ বোতল বিদেশি মদ, ৫৫১ ক্যান বিয়ার, ৭ সেট ডাকাতিতে ব্যবহৃত পোশাক, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ল্যান্ড ফোন, চারটি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত এ দ্বীপটি টেকনাফ থেকে দূরবর্তী, বিচ্ছিন্ন এবং জনশূন্য। এ সুযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, মাদক ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের দুটি টিম যৌথভাবে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্যসহ ৬ জন ডাকাত সদস্য আটক করতে সক্ষম হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এএজেড