শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বছর ধরে ইউএনও অফিসে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন

রংপুরে একজন বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন ঝুলে আছে এক বছর ধরে ইউএনও অফিসে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তার এ আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এক বছর ধরে তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কোরাম পূরণ করতে না পারার অজুহাতে থেমে গেছে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণ না করে বিষয়টি গুরুত্বসহ আমলে নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় দিন যাপন করা বীরাঙ্গনা সুইটি আক্তার পুতুল।

বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন করা ভুক্তভোগী নারী ও প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা প্রায়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইসাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার পুতুল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকায় বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন সুইটি আক্তার পুতুল। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃপক্ষ রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেন।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু কমিটি গঠনের প্রায় এক বছর হলেও এখন পর্যন্ত নানা কারণে কমিটির সদস্যরা একত্রিত হতে না পারায় কোরাম পূরণ হয়নি। কোরাম পূরণ না হওয়া ছাড়া তদন্ত বিলম্বে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা- এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

সুইটি আক্তার পুতুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবা ইছাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়া ছিলেন রংপুরের আলমনগর রেলস্টেশন এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সেই ক্ষোভেই স্থানীয় ওয়াহেদ মিয়া নামে এক পাকিস্তানি দোসর আমাকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে তাদের কাছে বাহবা নিয়ে সটকে পড়েন। সেই থেকে আমি চার মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

যুদ্ধ শেষে ১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে উদ্ধার করে আমার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ে আমার বাবা পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে এ ঘটনা আড়াল করে বিষয়টি গোপন রাখেন। কয়েক বছর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশনা দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুনর্বাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এম এ সামাদ সরকার আমাকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করেন।

তারপর থেকে আমি সেই রাজাকার ওয়াহেদ মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর সদর উপজেলা কমান্ডার ও ইউনিট কমান্ডার বিগত ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সহ আমাকে বীরাঙ্গনা নারী হিসেবে সুপারিশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করেছিলেন।

এই বীরাঙ্গনা আরও বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম সাল ১৯৫৩ সালের পরিবর্তে ভুলবশত ১৯৭৪ সাল হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আমার বীরাঙ্গনা স্বীকৃতির আবেদন বাতিল করে দেয়। এরপর ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল সংশোধন করতে দীর্ঘ কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

অবশেষে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সংশোধিত আইডি কার্ড দিয়ে আমি পুনরায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে নতুন করে আবেদন করি। জামুকা কর্তৃপক্ষ আমার আবেদনটি গুরুত্বসহ আমলে নিয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাইয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। আজ প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, আমি নিজেই অনেকবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরও তিনি এ বিষয়টি আমলে নেননি। একজন অবহেলিত বীরাঙ্গনার যাচাই-বাছাই হয় না, এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে।

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী কথিত কিছু মুক্তিযোদ্ধা ওই রাজাকারের টাকা খেয়ে পুতুলের প্রতি অবিচার করেছে। তবে নিঃসন্দেহে পুতুল একজন বীরাঙ্গনা নারী। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে মুজিব ক্যাম্পের প্রশিক্ষক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন ইছাহাক আলী টেঙ্গারু মিয়া। তার মেয়ে পুতুল পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পুতুলের আবেদনটি কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়। কোনো একটি চক্র তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হচ্ছে।

খোঁজ জানা গেছে, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাই তদন্ত কমিটি গত এক বছরে একবারও কোরাম পূরণ করতে পারেনি। এই কমিটিতে কারা‌ রয়েছেন এবং কত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করতে হবে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না। ইতোমধ্যে তদন্তে‌ সহযোগিতা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছ থেকে দুইজন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়েছি। তবে কেন তদন্তে বিলম্ব এবং কোরাম পূরণ হচ্ছে না, এটিও খতিয়ে দেখা হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এএজেড

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী