রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বছর ধরে ইউএনও অফিসে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন

রংপুরে একজন বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন ঝুলে আছে এক বছর ধরে ইউএনও অফিসে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তার এ আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এক বছর ধরে তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কোরাম পূরণ করতে না পারার অজুহাতে থেমে গেছে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণ না করে বিষয়টি গুরুত্বসহ আমলে নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় দিন যাপন করা বীরাঙ্গনা সুইটি আক্তার পুতুল।

বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন করা ভুক্তভোগী নারী ও প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা প্রায়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইসাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার পুতুল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকায় বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন সুইটি আক্তার পুতুল। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃপক্ষ রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেন।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু কমিটি গঠনের প্রায় এক বছর হলেও এখন পর্যন্ত নানা কারণে কমিটির সদস্যরা একত্রিত হতে না পারায় কোরাম পূরণ হয়নি। কোরাম পূরণ না হওয়া ছাড়া তদন্ত বিলম্বে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা- এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

সুইটি আক্তার পুতুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবা ইছাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়া ছিলেন রংপুরের আলমনগর রেলস্টেশন এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সেই ক্ষোভেই স্থানীয় ওয়াহেদ মিয়া নামে এক পাকিস্তানি দোসর আমাকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে তাদের কাছে বাহবা নিয়ে সটকে পড়েন। সেই থেকে আমি চার মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

যুদ্ধ শেষে ১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে উদ্ধার করে আমার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ে আমার বাবা পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে এ ঘটনা আড়াল করে বিষয়টি গোপন রাখেন। কয়েক বছর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশনা দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুনর্বাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এম এ সামাদ সরকার আমাকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করেন।

তারপর থেকে আমি সেই রাজাকার ওয়াহেদ মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর সদর উপজেলা কমান্ডার ও ইউনিট কমান্ডার বিগত ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সহ আমাকে বীরাঙ্গনা নারী হিসেবে সুপারিশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করেছিলেন।

এই বীরাঙ্গনা আরও বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম সাল ১৯৫৩ সালের পরিবর্তে ভুলবশত ১৯৭৪ সাল হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আমার বীরাঙ্গনা স্বীকৃতির আবেদন বাতিল করে দেয়। এরপর ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল সংশোধন করতে দীর্ঘ কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

অবশেষে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সংশোধিত আইডি কার্ড দিয়ে আমি পুনরায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে নতুন করে আবেদন করি। জামুকা কর্তৃপক্ষ আমার আবেদনটি গুরুত্বসহ আমলে নিয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাইয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। আজ প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, আমি নিজেই অনেকবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরও তিনি এ বিষয়টি আমলে নেননি। একজন অবহেলিত বীরাঙ্গনার যাচাই-বাছাই হয় না, এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে।

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী কথিত কিছু মুক্তিযোদ্ধা ওই রাজাকারের টাকা খেয়ে পুতুলের প্রতি অবিচার করেছে। তবে নিঃসন্দেহে পুতুল একজন বীরাঙ্গনা নারী। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে মুজিব ক্যাম্পের প্রশিক্ষক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন ইছাহাক আলী টেঙ্গারু মিয়া। তার মেয়ে পুতুল পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পুতুলের আবেদনটি কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়। কোনো একটি চক্র তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হচ্ছে।

খোঁজ জানা গেছে, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাই তদন্ত কমিটি গত এক বছরে একবারও কোরাম পূরণ করতে পারেনি। এই কমিটিতে কারা‌ রয়েছেন এবং কত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করতে হবে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না। ইতোমধ্যে তদন্তে‌ সহযোগিতা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছ থেকে দুইজন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়েছি। তবে কেন তদন্তে বিলম্ব এবং কোরাম পূরণ হচ্ছে না, এটিও খতিয়ে দেখা হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু