গ্রাম পুলিশে নিয়োগ ছোট ভাইয়ের, চাকরি করেন বড় ভাই!

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ পদে ছোটভাই নিয়োগ পেলেও চাকরি করেন বড়ভাই। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তাই চাকরি পাওয়া জিয়াউর রহমানের বদলে তার সহদর (বড়ভাই) আসাদুজ্জামান শিকারী গ্রাম পুলিশের পোশাক পরে নিয়মিত পরিষদে ডিউটি করাসহ থানায় হাজিরা দিলেও থাকতেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে আসাদুজ্জামান শিকারী তার ছোটভাই ভাই জিয়াউর রহমানের বদলে কালিগঞ্জ থানায় হাজিরা দিতে আসলে বিষয়টি গণ্যমাধ্যম কর্মীরা কালিগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মোরশেদ আলীর নজরে আনলে তাকে থানা চত্ত্বর থেকে বের করে দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধর কাটি গ্রামের মৃত বাবুর আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপে সেলস্ ম্যান হিসেবে ঢাকার গাজীপুরে চাকরি করে আসছেন। তবে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেলে সেখানে আবেদন করেন জিয়াউর রহমান শিকারী।
আবেদনের পর নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে গত ১৩ অক্টোবর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করে। কিন্তু, নিয়োগ পাওয়ার পরও গ্রাম পুলিশের পদে চাকরি না করে তার কর্মস্থল ঢাকা গাজীপুর আবুল খায়ের গ্রুপে চলে যান জিয়াউর রহমান।
তবে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সহায়তাই গ্রাম পুলিশ পদে চাকরি পাওয়া জিয়াউর রহমানের বদলে তার আপন বড়ভাই আসাদুজ্জামান শিকারী গ্রাম পুলিশের পোশাক পরে ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় নিয়মিত ডিউটি হাজিরা দিয়ে যেতেন। শুধুমাত্র মাসিক বেতন ভাতা উত্তোলনের সময় ছাড়া জিয়াউর রহমান কখনও পরিষদ করেননি।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান শিকারির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম তাকে ডিউটি করতে বলেছেন। তার ভাই ঢাকায় চিকিৎসা করাতে গেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয় না দিয়েই গ্রাম পুলিশে নিয়োগ প্রাপ্ত জিয়াউর রহমান শিকারির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি ঢাকার গাজীপুরে আবুল খায়ের গ্রুপে চাকরি করতেছেন।
এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গ্রাম পুলিশের চাকরি করে কিভাবে ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং একই সময় দুটি চাকরি কীভাবে করছেন জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এএজেড
